মুগদা থেকে মান্ডা যাওয়ার সড়ক বড় করার লক্ষ্যে দুই পাশের দোকানপাট ও বাড়ি-ঘর ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। গত ৩ দিন ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। কিন্তু এই অভিযানে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তি ভাঙচুর, লুটপাট ও মালিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

মুগদা এলাকার বাসিন্দা জহিরুল আলম ঢাকা পোস্টকে জানান, তার বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর না করতে হাইকোর্ট এবং রাজউক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনাপত্র সিটি করপোরেশন এবং রাজউককে দেখানো হলে তারা ভাঙচুর না করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলর শফিকুল আলম শামীমের মদদে অটো বাবু, প্লাবন ও মোশাররফের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়।

জহিরুল আলম অভিযোগ করে বলেন, ভাঙচুর করে আমার বেকারি পণ্য তৈরির ১০ লাখ টাকা দামের মেশিন নিয়ে গেছে তারা। একইসঙ্গে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরের টিভি, ফ্রিজ, ইসি, সিসি ক্যামেরা এবং খামার তৈরি জন্য আনা ১০ হাজার ইট ও খামার থেকে শতাধিক মুরগি এবং হাঁস লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার মতো সম্পত্তি লুট করে নিয়ে গেছে।

এসব মালামাল লুটপাট করার সময় তার স্ত্রী মোবাইলে ফোনে ভিড়িও ধারণ করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন জহিরুল আলম। এ ঘটনার বিচার চাইতে পুলিশের কাছে গেলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর শফিকুল আলম শামীম বলেন, সিটি করপোরেশন ও রাজউক অভিযান পরিচালনা করছে। সেখানে আমি কারও ঘর-বাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করতে নির্দেশ দিইনি।

এএইচআর/এসকেডি