সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (২১ এপ্রিল) ডিএমপির ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে ৯ সাংবাদিককে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

মশিউর রহমান জানান, প্রথমে আমরা তাকে (শেহেলা পারভীন) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদের সনদ জালিয়াতির বিষয়টি তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত হয়। পরে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একই ঘটনায় আরও তিন থেকে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যারা বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রিন্সিপাল। 

একই ঘটনায় সিস্টেম অ্যানালিস্ট ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে নানাভাবে অসাধু সহযোগিতার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও সনদ জালিয়াতির সঙ্গে ৮ থেকে ৯ জন সাংবাদিকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাদেরকে শনাক্ত ও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, আজ (রোববার) দুপুরে মিন্টো রোডে নিচ কার্যালয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান হারুন অর রশিদ এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন।

এর আগে গত ১ এপ্রিল সনদ জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান ও তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রকৌশলী একেএম শামসুজ্জামান কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করেন হাজার হাজার আসল সার্টিফিকেট ও মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি। পড়ালেখা ছাড়াই পাঁচ হাজার লোকের হাতে টাকার বিনিময়ে তুলে দেন আসল সার্টিফিকেট। আর ঘরে বসেই শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে সেসব সার্টিফিকেট আপলোড করতেন তিনি।

গ্রেপ্তারের সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়।

জেইউ/এমএ