গণমাধ্যম কর্মী আইন দ্রুত পাস করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
গণমাধ্যম কর্মী আইন প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, আইনটি পর্যালোচনা করার জন্য সবগুলো সাংবাদিক সংগঠন থেকে দুজন প্রতিনিধি নিয়ে সেল তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সেলের সদস্যদের আলাপ-আলোচনার পর তাদের বক্তব্য নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হবে। তারপর দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে নিয়ে পরবর্তীতে সংসদে পাস করা হবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
বিজ্ঞাপন
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, মুক্ত গণমাধ্যম এবং একই সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। এসব কিছু আমাদের স্বাধীনতার চেতনার অংশ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এ সবকিছু নিশ্চিত করতে চায়, সুরক্ষা দিতে চায়। কিন্তু এ সমাজে একটি অপশক্তি আছে যারা বাংলাদেশকে, এ দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। তারা বাংলাদেশের সংজ্ঞা বদলে দিতে চায়।
তিনি বলেন, আমরা ’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সজ্ঞা তৈরি করেছিলাম, ৩০ লাখ শহীদের ত্যাগ, জীবনদান, লক্ষ লক্ষ নারীর সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করে আমরা যে সজ্ঞা তৈরি করেছিলাম, একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের একটি দেশ ও সমাজ, তার বিপরীতে তারা একটি অন্ধকারের সমাজ তৈরি করতে চায়, একটি জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের সমাজ তৈরি করতে চায়। এই অন্ধকারের অপশক্তির সঙ্গে আমাদের নিরন্তর লড়াই। গণতন্ত্রের শত্রু যারা, স্বাধীনতার বিরুদ্ধের শত্রু যারা, সমাজের অপশক্তি যারা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের চালিয়ে রাখতে হবে। এ লড়াইয়ে সাংবাদিকরা সরকারকে সহযোগিতা করবেন।
আরাফাত বলেন, অপতথ্যকে আমাদের রোধ করতে হবে, কিন্তু অপতথ্য রোধ করতে গিয়ে আমরা তথ্যের অবাধ প্রবাহ বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জায়গা সংকুচিত করতে চাই না। এ জায়গার সুন্দর ভারসাম্য করাটা খুবই জরুরি যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের স্বার্থে মুক্তবুদ্ধির চর্চা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জায়গা অপরিবর্তিত রেখে কীভাবে আমরা অপতথ্য রোধ করতে পারি।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন একই কথা বলে যে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় এক ধরনের শৃঙ্খলা আনা দরকার। সাংবাদিকতার মধ্যে যারা পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে অপসাংবাদিকতা করেন তারা আসল সাংবাদিকতাকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেন। এ বিষয়টি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেই কিন্তু আসে। কাজেই এখানেও এক ধরনের শৃঙ্খলা আনার জন্য আপনাদের সাথে পরামর্শ করে কাজ করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
এমএম/এসকেডি