শখের বাইক কেড়ে নিলো চট্টগ্রামের পটিয়ার তানভির জামান (২৩) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর প্রাণ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে পটিয়া থেকে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। 

যাওয়ার পথেই চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে দ্রুতগামী একটি পিকআপ তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পথচারীরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান।

নিহত তানভির জামান পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মীর বাড়ির বদিউজ্জামানের বড় ছেলে। সে আনোয়ারা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিল। তারা তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তানভির জামান সবার বড়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ৮টি বাইকযোগে ১৫ জন বন্ধুরা মিলে মোটরসাইকেল চালিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে রওনা হন পটিয়া থেকে। যাওয়ার পথেই চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া চুনতি এলাকায় পেছন থেকে একটি দ্রুতগামী পিকআপ তানভির জামানের বাইকে ধাক্কা দিলেই এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ঘাতক পিকআপটি পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। 

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তানভির জামানকে উদ্ধারে তার কোনো বন্ধু এগিয়ে আসেনি। ১৫ জন বাইক আরোহী বন্ধু পটিয়া থেকে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া পথেই বন্ধুর বিপদে এগিয়ে না আসাকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার পরিবারের লোকজন। 

নিহতের মামা রহমত উল্লাহ বলেন, রাতে আমরা খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে দেখি ভাগিনার নিথর দেহ। পটিয়া থেকে ১৫ জন বন্ধু একসঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়ার পথেই ঘটে দুর্ঘটনা। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাকি ১৪ জন বন্ধু তার এ বিপদের সময় কেউ এগিয়ে আসেনি। তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। 

এদিকে, তানভির জামানের মৃত্যুতে বন্ধু মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। অন্যদিকে পরিবারের বড় ছেলেকে হারিয়ে নিহতের পরিবারের চলছে শোকের মাতম।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের পর তার লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আরএমএন/এমএ