মুক্তিপণের ভিডিওকে ‘সিনেমার দৃশ্য’ মনে করছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী!
বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ও জিম্মি ২৩ নাবিকের মুক্তিতে মুক্তিপণ দেওয়ার ভিডিও চিত্র দেখা যাওয়া প্রসঙ্গে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সন্দেহ পোষণ করে বলেছেন, এটা কোনো সিনেমার ছবিও (দৃশ্য) হতে পারে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
উড়োজাহাজ থেকে ফেলে ব্যাগে করে মুক্তিপণ দেওয়ার ভিডিও দেখা গেছে, এ বিষয়ে কী বলবেন? সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা এখন কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কীভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।’
তিনি বলেন, ‘জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। এত দামি জিনিস (ডলার) পানিতে ফেলে জানা ছিল না!’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে উড়োজাহাজে করে মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে বলে দুই জলদস্যুর বরাত দিয়ে গতকাল সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সোমালি গণমাধ্যম দি ডেইলি সোমালিয়া। বাংলাদেশে সরকারিভাবে এটি এখনো স্বীকার করা হয়নি।
আরও পড়ুন
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আইএমওর (আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থা) সি ক্যাটাগরি সদস্য। আমরা একটা প্রস্তাবনা তৈরি করছি, যেটা নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। আইএমওতে যে ১৭৪টা দেশ আছে তাদের কাছে আমরা একটা প্রস্তাবনা দেবো, কীভাবে আমাদের সমুদ্রপথটাকে নিরাপদ রাখতে পারি।
জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি এখন দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটি ১৯ বা ২০ এপ্রিল গিয়ে পৌঁছাবে। এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ এবং নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়। নাবিকরা কত দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে, সেই চুক্তি তারা বহাল রাখবে, নাকি তারা ফিরে আসবে।
তিনি আরো বলেন, তবে মালিকরা গতকালকে খুব ভালো একটি কথা বলেছেন। গতকালকে আমি শুনেছি তারা যদি চায় বাংলাদেশে ফিরে আসবে তাদেরকে বিমানযোগে বাংলাদেশের নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাদের রিপ্লেস যারা হবে সেটা নিয়েও হয়তো তারা কাজ করছে।
এসএইচআর/পিএইচ