এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে দেশের তিন স্থানে সফলভাবে আয়োজিত হয়েছে আলপনা উৎসব ‘আলপনায় বৈশাখ ১৪৩১’।

দেশের সর্ববৃহৎ এ আলপনা উৎসব গত ১২ এপ্রিল প্রথমে শুরু হয় কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে। মিঠামইনের জিরোপয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক আলপনায় রাঙিয়ে তোলেন শিল্পীরা। যার মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হয় বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনার রেকর্ড গড়ার। এরপর, গত ১৩ এপ্রিল খুলনার শিববাড়ি মোড় ও ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতেও একযোগে শুরু হয় এ উৎসব।

আজ পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) মিঠামইন এলাকার আলপনা অঙ্কন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ও বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান।

‘আলপনায় বৈশাখ ১৪৩১’-এর ঢাকার আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নূর, গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইরেশ যাকের, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী, চিফ অপারেটিং অফিসার ও ডিরেক্টর মো. মহসিন হাবিব চৌধুরী, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, চিফ হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ ও বরেণ্য শিল্পী মো. মনিরুজ্জামানসহ দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

খুলনার শিববাড়ি মোড়ে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ইন্টারনাল অডিট ডিরেক্টর মোহাম্মাদ মাহবুব ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ক্লাস্টার ডেপুটি ডিরেক্টর মো. মারুফ হোসেন চৌধুরী, এবং বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার শাকিল এম হুমায়ুন।

এ আয়োজন নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী বলেন, দীর্ঘতম আলপনা আঁকার মাধ্যমে এই ওয়ার্ল্ড রেকর্ড প্রতিস্থাপনে বার্জারের অংশগ্রহণ আমাদের সীমানা ছাড়িয়ে এক ইতিহাস গড়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নজির করে। আগামী বছরগুলোতেও আমরা এমন রঙিন এবং স্মরণীয় বৈশাখী উৎসবের প্রত্যাশা করছি।'

আবারও ‘আলপনায় বৈশাখ’ আয়োজনের সাক্ষী হতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করে এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটির গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইরেশ যাকের বলেন, আলপনায় বৈশাখের দেশব্যাপী এ আয়োজন বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরা ও বাংলাদেশের সৃজনশীলতারই উদযাপন। আলপনায় বৈশাখ ১৪৩১ উৎসবে বাংলালিংক ও বার্জার পেইন্টসকে সাথে পাওয়া আমাদের আয়োজন ও উদযাপনকে সম্পূর্ণ করেছে। এশিয়াটিকে আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সৃজনশীল চেতনাকে বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরায় বিশ্বাস করি।

বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান তার উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিভিন্ন উৎসব উদযাপনে বাংলালিংক গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পহেলা বৈশাখ—দেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক আয়োজন। এ উৎসব আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও প্রসারে বাংলালিংকের নিবেদনেরই প্রতিফলন।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসব ও সাংস্কৃতিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আধুনিক বাংলাদেশে আলপনা একটি অসাম্প্রদায়িক চরিত্র হিসেবে বহিঃপ্রকাশ করছে। তাই, নতুন বছরকে বরণ করার জন্য এই আলপনা অঙ্কন একটি অনন্য ধাপ, যা যুব সমাজকে অস্প্রাদায়িকতা ভুলে একত্রিত হতে শেখাবে; একসাথে সব বিবেধ ভুলে, আগামীর পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।

বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ আয়োজনে ২০১২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড মানিক মিয়া এভিনিউসহ দেশের নানা প্রান্তে ‘আলপনায় বৈশাখ’ শীর্ষক আলপনা অঙ্কনের আয়োজন করে আসছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত কয়েক বছর তা আয়োজিত হয়নি। অবশেষে, এ বছর অষ্টমবারের মতো ‘আলপনায় বৈশাখ-১৪৩১’ সফলভাবে আয়োজিত হয়েছে।

এমএসি/পিএইচ