সদরঘাটে নিহতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের
রাজধানীর সদরঘাটে পন্টুনে বেঁধে রাখা লঞ্চে আরেক লঞ্চের ধাক্কায় রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে নিহত ৫ যাত্রীর মধ্যে তিনজন একই পরিবারের।
নিহতরা হলেন, মাইশা (৩), মুক্তা (২৩) ও মো. বেল্লাল (২৬)। মুক্তা ও বেল্লাল স্বামী-স্ত্রী। আর মাইশা তাদের তিন বছর বয়সী মেয়ে। তাদের বাড়ি পিরোজপুরে।
বিজ্ঞাপন
নিহত বাকি দুজন হলেন, রিপন হাওলাদার (৩৮) ও রবিউল (১৯)। রিপন হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালী। তিনি রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় থাকতেন। এছাড়া রবিউলের বাড়ি ঠাকুরগাঁও।
সদরঘাট নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিয়াকাত আলী বলেন, দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। তারা হলেন, বেল্লাল, মুক্তা ও মাইশা। বেল্লাল ও মুক্তা স্বামী-স্ত্রী আর মাইশা তাদের তিন বছরের কন্যা সন্তান। এ ঘটনায় কোনো আহত বা নিখোঁজ নেই।
আরও পড়ুন
এসআই লিয়াকাত আলী বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিহতদের মরদেহ এখন মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
তিনি বলেন, নিহত স্বজনরা যদি ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নিয়ে যেতে চান তাহলে তাদেরকে নৌ-পুলিশের কাছে আবেদন করতে হবে। তাদের আবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলের দিকে সদরঘাটের ১১নং পন্টুনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা নদী বন্দর (সদরঘাট) এর যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সদরঘাটের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ মিডফোর্ড হাসপাতালে রাখা আছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
এমএসি/এসএএ/এমএসএ