রাজধানীর সদরঘাটে পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রাখা একটি লঞ্চে যাত্রীরা ওঠানামা করছিলেন। হঠাৎ ওই লঞ্চ এবং পাশের আরেকটি লঞ্চের মাঝ দিয়ে অন্য একটি লঞ্চ ঢুকে পড়ে। অনুপ্রবেশ করা লঞ্চের ধাক্কা খেয়ে পন্টুনে বেঁধে রাখা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। এতে ৫ যাত্রী নিচে পড়ে গিয়ে নিহত হন। তাদের মধ্যে একজন নারী, তিনজন পুরুষ ও একটি শিশু রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলের দিকে সদরঘাটের ১১নং পন্টুনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌ-পুলিশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম।

ঢাকা নদী বন্দর (সদরঘাট) এর যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সদরঘাটের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ মিডফোর্ড হাসপাতালে রাখা আছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

সদরঘাট নৌ-পুলিশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম বলেন, বিকেলে এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেক লঞ্চের ৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অচেতন ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। এতে পাঁচজন যাত্রী লঞ্চে ওঠার সময় নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাদের মিটফোর্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা সবাই মারা যান।

এমএসি/এমএসএ