ঈদের দিনও নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন অনেকে। ছুটি শুরু হওয়ার পর নানা কারণে যারা ঢাকা ছাড়তে পারেননি তারা আজ বাড়ি ফিরছেন। 

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে টার্মিনালে। ঈদের নামাজ শেষ করেই বাস ধরতে চলে এসেছেন অনেকে। বাসের কর্মচারীরাও যাত্রীদের ডাকাডাকিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিছু কিছু বাস কাউন্টার বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ কাউন্টারই খোলা।

কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী রেজাউল করিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার ছুটি পেতে দেরি হয়েছে, তাই আজ বাড়ি যাচ্ছি। তিন-চারদিন কাটিয়ে আবার ঢাকা ফিরব।

শেরপুরগামী যাত্রী হোসাইন মোহাম্মদ বলেন, এবার বেতন পেতে দেরি হয়েছে। খালি হাতে তো আর বাড়ি যাওয়া যায় না, তাই এখন যাচ্ছি।

তবে অনেকেই আছেন যারা ঈদযাত্রার ভোগান্তি এড়াতে আজকের দিনটিকে বেছে নিয়েছেন। 

যাত্রী শামীমা মেহজাবিন বলেন, ঈদে রাস্তাঘাটে গাড়ির প্রচুর চাপ থাকে। সেই ভোগান্তি এড়াতে আজ বাড়ি ফিরছি। রাস্তাঘাট যেহেতু ফাঁকা, আশা করছি দ্রুত পৌঁছাতে পারব।

সৌখিন পরিবহনের কর্মী রিয়াজ বলেন, সকাল থেকেই যাত্রী আসছে। ইতোমধ্যে ২টা বাস ছেড়ে গেছে। আশা করছি, আরও যাত্রী আসবে।

তবে ঈদের দিনেও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। নেত্রকোণা যাওয়ার জন্য আরাফ পরিবহনের টিকিট কাটতে যান যাত্রী মেহেদি হাসান। এই রুটে নির্ধারিত বাস ভাড়া ৪০০ টাকা হলেও আজ নেওয়া হচ্ছে ৮০০ টাকা।

মেহেদি হাসান বলেন, ভেবেছিলাম ঈদের আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এখন দেখছি ঈদের দিনও নেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে আরাফ পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা মো জসিম বলেন, যে কয়টা বাস যাবে, সবগুলোই খালি ফিরবে। তাই একটু বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ঈদের ছুটি শেষ হলে আবার আগের মতোই ভাড়া নেওয়া হবে।

ওএফএ/এসকেডি