রোগীর চাপ নেই ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে

রোগীর চাপ নেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। যেখানে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে, সেখানে গত কয়েকদিন ধরে রোগীর জন্য রীতিমতো অপেক্ষা করতে হচ্ছে। 

আগে একটি শয্যা পাওয়ার জন্য লাইন ধরতে হতো, তদবির করতে হতো। এখন আর এমন কিছু চোখে পড়ে না। কোনো রোগী এলে আর অন্য কোথাও পাঠাতে হয় না। ভর্তির যোগ্য হলে সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয়। করোনা ইউনিটের সামনে এখন আর সেভাবে সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় না।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ইউনিটের সামনে থাকা চাঁদনী নামে এক স্বেচ্ছাসেবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সকাল থেকে এখানে আছি। এখন দুপুর শেষ হয়ে গেছে। ৫ থেকে ৬ জন রোগী এসেছেন। আগে তো রোগীর লাইন লেগে থাকত। এখন মনে হচ্ছে রোগীর সংখ্যা কমছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করোনা ইউনিটে দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য জানান, প্রতিদিন এখানে রোগীর সংখ্যা কমছে। আগে এখানকার ডাক্তারদের রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হতো। এখন আর চাপ নেই। কখনো কখনো রোগী এলেও আবার অনেক সময় আসেন না। 

ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিট -২ এর ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই কমছে। ফাঁকা শয্যার সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে। আজ শয্যা ফাঁকা ১৭৬টি। গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন।

তিনি বলেন, রোগী ভর্তি কমেছে। শয্যার জন্য কারও এখন সিরিয়াল দিতে হয় না। কাউকে শয্যা দেওয়ার জন্য কেউ তদবিরও করে না। ভর্তিযোগ্য হলেই আমরা তাদের ভর্তি নিচ্ছি।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনায় সচেতনতা বাড়ার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। দিন দিন আমাদের খালি শয্যার সংখ্যা বাড়ছে। আজ ১৭৬টি খালি। গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাসায় চলে গেছেন ২৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ জন।

দেশের করোনা পরিস্থিতি 

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ১৫০ জনের।

এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩  হাজার ৩০৬ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ৪৮  হাজার ৬২৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৪১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৩ জন।

এসএএ/আরএইচ/জেএস