বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচেনর মাধ্যমে সরকার দেশকে এমন একটি দুর্বল রাষ্ট্রে পরিণত করেছে যে এখানে স্বাধীনতা আছে কিনা, সার্বভৌমত্ব রয়েছে কিনা আমরা জানি না।

রিজভীর দাবি, অন্য দেশের বিভিন্ন অস্ত্রধারী সংগঠন ও সন্ত্রাসীরা আমাদের দেশে ঢুকে ব্যাংক লুট করছে, হামলা করছে। তারা বাংলাদেশের থানা লুট করছে, অস্ত্র লুট করছে। মানুষ হত্যা করছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় দুস্থ ও গরিব-দুঃখিদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে মনে হচ্ছে ডকাতদের রাজত্ব চলছে। মনে হচ্ছে এখানে কোনো ভদ্র লোক বাস করছে না। অর্থসহ সবকিছুর মালিক এ ডাকাতরা। সরকার কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছে না। সরকার নিজেই দস্যুদের মতো আচরণ করছে। তারা নিজেরাই যেখানে ডাকাতদের ভূমিকায়, সেখানেতো জনগণের নিরাপত্তা থাকতে পারে না।

দেশে গণতন্ত্র নেই বলে বারবার আমাদের সীমান্তে আক্রমণ করছে, প্রায় প্রতিদিন গুলি করে মানুষ হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। বলেন, তারপরও শেখ হাসিনা সরকার এর প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছে না। আমাদের ন্যায্য পানির অধিকার আদায় করতে পারেনি। এভাবে দেশ চলতে পারে না।

মানুষের অধিকার ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমনিুল হক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন আহেমদ, আব্দুর রাজ্জাক, আতাউর রহমান প্রমুখ।

এএইচআর/এসএম