মেঘনা টোল প্লাজায় ১২টি বুথে ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

অন্যদিকে, এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত ১টি রেল ওভারপাস, ৭টি ওভারপাস ও ২টি সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এগুলো উন্মুক্ত করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকল্পের আওতায় এখানে একটি রেল ওভারপাস, ৭টি ওভারপাস এবং দুটি সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য এটা উন্মুক্ত করছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতু ও মেঘনা-গোমতী সেতু টোল প্লাজায় ২০১৬ সাল থেকে সীমিত পরিসরে একটি করে লেনে ইটিসি কার্যক্রম চালু আছে। মেঘনা সেতুর টোল প্লাজায় বিদ্যমান কম সংখ্যক টোল বুথগুলোর মাধ্যমে যানবাহন থেকে টোল কালেকশন বিশেষ করে ঈদের সময় যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষমান থেকে টোল পরিশোধ করার কারণে জনভোগান্তি বেড়ে যায়। সে প্রেক্ষাপট বিবেচনায় টোল কালেকশনকে অধিকতর প্রযুক্তি নির্ভর করা এবং জনভোগান্তি লাঘবে বিদ্যমান মেঘনা সেতু টোল প্লাজার পাশে নতুন আরেকটি টোল প্লাজা নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

এতে জানানো হয়, ঢাকা জোনের আওতায় আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুবিধা সহ প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন এই টোল প্লাজায় ৬টি নতুন টোল কালেকশন বুথের সংস্থান রয়েছে। ফলে বিদ্যমান পুরাতন টোল প্লাজা ৬টি এবং নব নির্মিত মেঘনা টোল প্লাজা-২ এর নতুন ৬টি সহ সর্বমোট ১২টি টোল বুথের মাধ্যমে টোল কালেকশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

উল্লেখ্য, এই ১২টি টোল বুথের সবকটিতেই ক্যাশ ও ক্যাশলেস (ইটিসি) ট্রানজেকশনের মাধ্যমে টোল দেওয়া যাবে। ফলে যেসব যানবাহন ইটিসি পদ্ধতিতে টোল দেবে তারা বিরতীহীনভাবে অর্থাৎ টোল প্লাজায় না থেমেই দ্রুততম সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতে টোল প্লাজায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টোল দেওয়ার চিরাচরিত ভোগান্তি আর থাকবে না। 

এসএইচআর/এমএ