সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে ঈদযাত্রায় বহরে ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চ বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সোমবার (১ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মনিটরিংয়ের দুর্বলতা ও কিছু অসাধু পরিবহণ মালিক বেশি মুনাফার আশায় ফিটনেসবিহীন বাস, ট্রাক ও লঞ্চ ঈদযাত্রায় যাত্রী পরিবহনের জন্য পথে নামানোর প্রস্তুতি নিয়েছে এমন খবর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সচিত্র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। গুটিকয়েক অসাধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ম্যানেজ করে এসব যানবাহন প্রতিবছর ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীবহন করে থাকে। এছাড়াও বাস ও লঞ্চে ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে নিম্নআয়ের লোকজন কম ভাড়ায় যাতায়াতের আশায় এসব ফিটনেসবিহীন বাস, লঞ্চ ও পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হতে বাধ্য হচ্ছে।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও প্রকৃতপক্ষে ঈদে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার কারণে প্রতি ঈদে পথ দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। 

বিগত ঈদুল ফিতরে ৩০৪ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত, ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিআরটিএ পক্ষ থেকে সারাদেশে ৫ লাখ ফিটনেস যানবাহনের তথ্য কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে দিয়েছিলেন। এছাড়াও নৌ-পথে কয়েক হাজার ফিটনেসবিহীন নৌযান ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের বহরে যোগ দেয়। বিআরটিএ ও বিআইডাব্লিউটিএ এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে প্রতি ঈদে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এবারের ঈদযাত্রা বহরে এমন যানবাহন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে যাত্রী অধিকার সুরক্ষা নিয়োজিত সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

/এমএইচএন/এমএ