ফাইল ছবি

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ শুক্রবার বিক্রি করা হয়েছে আগামী ৮ এপ্রিলের টিকিট। ঈদ উপলক্ষ্যে টিকিট বিক্রি শুরুর ছয় দিনের মধ্যে আজই ওয়েবসাইট ও অ্যাপে সর্বোচ্চ হিট করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র একটি দায়িত্বশীল সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, ওয়েবসাইট ও অ্যাপে মিলে সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে এক কোটি ২৮ লাখ বার হিট করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এসময় বিক্রি হচ্ছিল পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের আসন। পরে দুপুর ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ৯৬ লাখ ৮০ হাজার বার হিট করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এসময় বিক্রি হচ্ছিল পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের আসন।

সূত্রটি আরও জানায়, আজ সার্ভারে সর্বোচ্চ হিট করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এর মধ্যে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত হিট হয়েছে ২ কোটির আশপাশে এবং সকাল ৯টা পর্যন্ত ২ কোটি ২০ লাখের মতো হিট করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এসবের মধ্যে ১০ শতাংশের মতো হিট ঢাকার বাইরের আসনের জন্য হয়েছে।

সূত্রের তথ্য মতে হিসাব করে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের আসন সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। এ টিকিটের জন্য বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে টিকিটপ্রত্যাশীরা হিট করেছেন এক কোটি ২৮ লাখ বার। এর মধ্যে ১০ শতাংশ হিট (১২ লাখ ৮০ হাজার) ধরা হয়েছে ঢাকার বাইরের। এই ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে হিসাব করে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে প্রতিটি আসনের জন্য ৭২০ বার হিট করা হয়েছে।

অন্যদিকে ঢাকা থেকে পূর্বাঞ্চলের আসন সংখ্যা ১৬ হাজারের কিছু বেশি। এই টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে টিকিটপ্রত্যাশীরা হিট করেছেন ৯৬ লাখ ৮০ হাজার বার। এর মধ্যে ১০ শতাংশ হিট (৯ লাখ ৬৮ হাজার) ধরা হয়েছে ঢাকার বাইরের। এই ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে হিসাব করে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে প্রতিটি আসনের জন্য ৫৪৫ বার হিট করা হয়েছে।

ষষ্ঠ দিনে ১০ ঘণ্টায় সারা দেশে ট্রেনের ৫৬ হাজার আসন বিক্রি

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ষষ্ঠ দিনের মতো আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টায় সারা দেশের আন্তঃনগর ট্রেনের এক লাখ ৬২ হাজার ৬৪৩টি আসনের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৫৬ হাজার ১৩টি। এ ছাড়া ঢাকা থেকে বহির্গামী ৩২ হাজার ৫৮৬টি আসনের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার ২৭০টি।

এমএইচএন/এসএসএইচ