সাতকানিয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতিকে অপহরণের পর মারধরের অভিযোগ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসানকে অপহরণের পর মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চরতি ইউনিয়নের তালতলা এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে অপহরণ করা হয়। পরে ভোর ৪টার দিকে চরতি ইউনিয়ন ব্রিজের নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চরতি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসানকে বাড়ি থেকে তাকে চোখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ভোর ৪টার দিকে বেধড়ক পিটিয়ে চরতি ইউনিয়নের একটি ব্রিজের নিচে ফেলে দেয় তারা। তার ঘাড়, পিঠ, কোমর থেঁতলে দেওয়া হয় বলে জানায় মাঈনুদ্দিনকে উদ্ধারকারী তার আত্মীয়রা। দুর্বৃত্তরা মাঈনুদ্দিন হাসানের কাছ থেকে এ ঘটনায় মামলা না করার মুচলেকা নেয়। কেড়ে নিয়ে যায় তার মোবাইলও।
এ সময় মো. মানিক নামে এক ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা করা হয়। রাত ২টার দিকে চরতি ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় তার ওপর হামলা করা হয়। আহত মানিকের পিঠে ও কোমরে ছুরিকাঘাত করা হয়।
আহত মানিক ও অপহরণের শিকার মাঈনুদ্দিন হাসান সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভীর অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
এ বিষয়ে আবু রেজা নদভী বলেন, চরতি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান ও ছাত্রলীগ নেতা মানিক বিগত সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে এলাকায় কাজ করেছিল। তখন থেকেই প্রতিপক্ষের লোকজন এই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে দফায় দফায় হুমকি দিচ্ছিল এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা এলাকাতেই অবস্থান করছিল। সেই ক্ষোভ থেকে ভুক্তভোগীদের ওপর হামলা করা করা হয়। বিষয়টি সাতকানিয়া থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকারকে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি।
এমআর/এমএ