নিহত মো. আনোয়ার মিয়া/ ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মো. আনোয়ার মিয়া (৫৫) নামে এক রিকশাচালককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের হাইলধর নতুন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে বিল থেকে আনোয়ার মিয়ার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় ও স্বজনরা।

নিহতের চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম বলেন, আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে তিনি টাকা-পয়সা প্রাক্তন স্ত্রী মরিয়ম বেগমের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠাতেন। ২০০৯ সালে স্ত্রী মরিয়ম বেগম স্থানীয় যুবক মো. শাহাদাতের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের সব টাকা পয়সা ও গহনা নিয়ে তাকে তালাক দিয়ে শাহাদাতকে বিয়ে করেন মরিয়ম। পরে আনোয়ার হোসেন আবার বিয়ে করেন।

এদিকে শাহাদাত দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও রমজান মাসে তিনি দেশে এসে ভাড়া বাসায় থাকা তার স্ত্রী মরিয়মকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। শাহাদতের সংসারেও তিন মেয়ে এক ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে দীর্ঘদিন তারা এলাকায় ফেরেননি।

কিছুদিন আগে নিজ বাড়িতে ফেরেন শাহাদাত হোসেন। স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় শাহাদাতের সঙ্গে আনোয়ারের কথা-কাটাকাটি হয়। তর্কাতর্কির সময় আনোয়ারাকে খুন করার হুমকি ধমকি দেয় শাহাদাত। এরই জের ধরে বুধবার রাতে ডেকে নিয়ে আনোয়ারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর থেকে মূল অভিযুক্ত শাহাদাত পলাতক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইলিয়াস খোকন জানান, হাইলধরে এই ধরনের ঘটনা প্রথম। আনোয়ারের প্রথম বউ পালিয়ে যাওয়ার পর সে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে সে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে। অনেক দুঃখ কষ্ট করে সংসার চালায়। এমন কর্মকাণ্ড খুনি শাহাদাতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

আনোয়ারা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশীদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আনোয়ার মিয়ার মৃত্যু হয়েছিল। আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছিলাম।  পুলিশ এসে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

ঘটনার বিষয়ে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। 

আরএমএন/এসকেডি