‘নন-লেথাল অস্ত্র ব্যবহার না হলে সীমান্ত হত্যা আরো বাড়ত’
সীমান্তে নন-লেথাল ওয়েপন (প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র) ব্যবহার বেড়েছে। আর এর ব্যবহার না হলে সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের করা ব্রিফিংয়ে সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ২৫ তারিখ লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। কিছু বাংলাদেশি কাটাতারের বেড়া কেটে সীমান্তের ওপারে যায়। তারা সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল। বিএসএফের ভাষ্য হচ্ছে, তারা তাদের চ্যালেঞ্জ করে বিএসএফকে ঘেরাও করে। তখন বিএসএফ গুলি ছুড়ে। এতে দুজন আহত হয়। একজন আহত বাংলাদেশি চলে আসে আরেকজনকে সেখানে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আরেকটি ঘটনা ২৬ তারিখ সকালে নওগাঁ সীমান্তে। একই ধরনের অবৈধ অনুপ্রেবেশের কারণে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন
হাছান মাহমুদ জানান, আমাদের বিজিবির পক্ষ থেকে এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সীমান্ত বৈঠক হয়েছে। আমরা ভারতের সঙ্গে অনেক দিন ধরে আলাপ-আলোচনা করছি। আমি যখন ভারত সফরে গিয়েছিলাম তখনও বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি, যেন সীমান্তে নন-লেথাল ওয়েপন ব্যবহার করা হয়। এখন কিন্তু আগের তুলনায় অনেক বেশি নন-লেথাল ওয়েপন ব্যবহার করা হয় এবং সে কারণে অনেকে বাবার বুলেটে বা ছররা গুলিতে আহত হন, পরে বাংলাদেশে চলে আসে।
তিনি বলেন, নন-লেথাল ওয়েপন আগের তুলনায় অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। এটা যদি না হতো তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতো। আমরা চাই, এ ধরনের ঘটনা যেন না হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বিজিবির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সীমান্ত হত্যায় প্রায়ই তদন্তের কথা উঠে। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে আসে না। এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে ড. হাছান বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং পতাকা বৈঠক হয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষ কাজ করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো প্রতিবাদ জানাবে কি না —এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এটি বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে যোগাযোগের মধ্যে আছে আমরা মনে করি, সেখানেই সমস্যাটা সমাধান করা সম্ভব।
এনআই/এসএম