রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার ইসলামবাগ এলাকায় একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও সহযোগিতা করছেন।

কেউ কেউ পানি এনে দিতে কাজ করছে, আবার কেউ ঝুঁকি নিয়ে মালামাল সরিয়ে নিতে সহযোগিতা করছেন। শুক্রবার (২২ মার্চ) দিবাগত গভীর রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা বলছেন, আগুন লাগার পরপরই আশপাশের মানুষ আগুন নেভাতে বাসা-বাড়ির ব্যবহৃত পানি নিয়ে এগিয়ে আসেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার পরই আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ গতি পায়।

নাজিম উদ্দীন নামক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ফায়ার সার্ভিস যে পানি নিয়ে এসেছে, সেই পানি দিয়ে কিছুই হতো না। আশপাশের বাসাগুলোর ট্যাংকিতে জমানো পানি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এগিয়ে এসেছে।

আগুনের সূত্রপাত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা একটা প্লাস্টিক-রাবারের কারখানা, এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরোনো জিনিসপত্র এনে রিসাইকেল করা হয়। কীভাবে আগুন লেগেছে সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে ভবনটিতে পাউডার জাতীয় বিভিন্ন ক্যামিকেল ব্যবহার হয় বলে আমরা জানি। সেগুলোর কারণে হয়তো আগুনটা দ্রুত ছড়িয়েছে।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ভবনটিতে ফ্যাক্টরির লোকজনই থাকে, আবাসিক কোনও মানুষ থাকে না। তবে পাশের ভবনগুলোতে আগুন ছড়িয়ে গেলে ভয়াবহ বিপদ হতে পারে। পাশের প্রায় সবগুলো ভবনেই কারখানার পাশাপাশি আবাসিক মানুষজনও থাকে।

তিনি বলেন, পুরো ইসলামবাগেই আবাসিক ভবনে কারখানার ছড়াছড়ি। এই এলাকায় বেশিরভাগই কিছুটা নিন্ম-মধ্যবিত্তরাই থাকে, যেকারণে কারখানা-বাসা মিলিয়েই থাকে। আগুন যদি বড় হয়, তাহলে ক্ষয়ক্ষতিটা বেশি হবে। কিন্তু আশা করছি তেমন কিছু হবে না।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালেদ জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় আমাদের কাছে খবর আসে চকবাজার ইসলামবাগে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, ওই খবরে আমাদের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩টা ৩৫ মিনিটে। এরপর আগুনের ভয়াবহতায় একে একে পাঠানো হয় মোট ৯টি ইউনিট।

তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের কারণ জানতে পারেননি তিনি।

টিআই/টিএম