জমে উঠেছে বেইলি রোডের ইফতার বাজার
রমজানের আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এর জেরে রমজানের শুরুতে ওই এলাকার ইফতারের ব্যবসায় ছিল পুরোপুরি মন্দাভাব। কিন্তু দেরি হলেও গত কয়েকদিনে বড়লোকের ইফতার বাজার খ্যাত বেইলি রোডের ইফতার বাজার জমতে থাকে। এখন রীতিমতো লাইন ধরে ইফতার কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিকেল ৪টার পর থেকেই বেশ জমজমাট অবস্থা বেইলি রোডে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (২২ মার্চ) বেইলি রোডের ইফতারের দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, এখানকার নানা ধরনের ইফতারের ঘ্রাণে ক্রেতারা বিমোহিত। বাহারি কাবাব থেকে শুরু করে হালিম-জিলাপি, লাচ্ছি, ফালুদা– কি নেই এখানকার দোকানগুলোতে।
বিজ্ঞাপন
অগ্নিকাণ্ডের পর বেইলি রোড়ের নবাবী ভোজ বন্ধ করে দেওয়ায় এবার এ এলাকার বড় ইফতার বাজার হচ্ছে জ্যাগেরি রেস্টুরেন্ট, পিঠা ঘর ও ক্যাপিটাল ইফতার বাজার।
জ্যাগেরি রেস্টুরেন্ট অর্ধশতাধিক আইটেমের ইফতার মিলছে। ছোলা, বুট থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান ছোলা বাটোরা, খাসির মাংস ভুনা, চিকেন কাটলেট, ফিশ ফিঙ্গার, জালি কাবাব, শিক কাবাব, রেশমি কাবাব, সুতি কাবাব, ভেজিটেবল রোল, স্প্রিং রোল, মোরগ পোলাও এবং বিভিন্ন ধরনের পিঠা। এসব ইফতার আইটেমের দাম সর্বনিম্ন ৬০ থেকে শুরু করে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত। এই রেস্টুরেন্টে কাবাব আইটেমের পাশাপাশি হরেক রকমের নান ও পরোটা বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে। এগুলোর দাম ৬০ থেকে ১৫০ টাকা।
আরও পড়ুন
আর ক্যাপিটাল ইফতার বাজারে রয়েছে শতাধিক আইটেমের ইফতার। এখানে ক্রেতাদের মূল আকর্ষণ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের খাসি ও গুরুর মাংসের তৈরি ইফতার আইটেম। এখানে গুরুর কালাভুনা থেকে শুরু করে বিফ কিমা, চিকেন ঝাল ফ্রাই, ব্রেন মসল্লাসহ আরও অনেক ধরনের ইফতার আইটেম পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাবাব রয়েছে এখানে। মাংসের তৈরি এসব ইফতারির দাম ১০০০ হাজারের নিচে নেই। এ ছাড়া এখানে ছোলা-বুটের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দই, মাঠা ও লাবাং পাওয়া যাচ্ছে।
ক্যাপিটাল ইফতার বাজারের বিক্রয়কর্মী আরিফ মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, অন্য দিনের তুলনায় আজ বিক্রি বেশি। ছুটির দিনে সবাই পরিবার নিয়ে ইফতার করবেন। এ কারণে হরেক রকমের ইফতার নিচ্ছেন তারা। অন্যদিকে ঈদের শপিং করতে আসা মানুষ ইফতারের আগে বাসায় না ফিরে এখানে বসে ইফতার করবেন। তারাও নিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের ইফতার আইটেম।
স্থানীয় বাসিন্দা রাতুল হাসান বলেন, ছোলা, পেঁয়াজু, আলুর চপ ও বেগুনি সব বাসাতেই তৈরি করা হয়। তবে মাংসের পদ, হালিম কিংবা জিলাপি দোকান থেকে নেন। এখানকার ইফতারের একটা ঐতিহ্য আছে। কিন্তু গতবারের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি।
জ্যাগেরি রেস্টেুরেন্টের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার ইফতারের আইটেম তৈরিতে খরচ বেশি হচ্ছে। এ কারণে কিছু আইটেমের দাম গতবারের চেয়ে বেড়েছে।
আরএইচটি/এসএসএইচ