রমজান মাসে নানা মুখরোচক খাবার রোজাদারদের সামনে তুলে ধরতে বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে রাজধানীর রেস্টুরেন্টগুলো। তেমনি ইফতারের পসরা নিয়ে বসে নগরীর বনানী এলাকার রেস্টুরেন্টগুলো। 

এদিকে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বেশিরভাগ দোকান ছিল প্রায় ক্রেতাশূন্য। তবে ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত রেস্তোরাঁগুলোর অংশগ্রহণে ‘গ্র্যান্ড ইফতার বাজার’ বেশ জমে উঠেছে। বনানীর সোয়াট ফিল্ডে এর আয়োজন করেছে ফুডপান্ডা।

পুরান ঢাকার বিউটি লাচ্ছি থেকে শুরু করে মোস্তাকিমের কাবাব, ডেকচি, ভাগ্যকূল কাচ্চিঘর, ডিসেন্ট পেস্টি শপ, শার্ম হাউজ সবকিছুর আয়োজন আছে গ্র্যান্ড ইফতার বাজারে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে রাজধানীর বনানী এলাকা ঘুরে আরও দেখা যায়, বনানী কাঁচাবাজার এলাকায় তাজমহল টেকওয়ে ইফতারের আয়োজন করেছে।

 

সেখানে হাতে গোনা ৪-৫ জন মানুষকে ইফতার কিনতে দেখা গেছে। পাশেই আছে সকাল সন্ধ্যা রেস্তোরাঁ। সেখানেও দুতিনজন মানুষকে ইফতার কিনতে দেখা গেছে।

দোকানিরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজু, বেগুনি, ভেজিটেবল পাকোড়া, সমুচা, আলুর চপ, দই বড়াসহ নানা আইটেম তৈরি করা হয় রেস্টুরেন্টে। আজ ছুটির দিনে তেমন কোনো ব্যস্ততা নেই। 

বনানীতে নিম্ন আয়ের মানুষ যারা কাজ করেন, তারা ইফতার সংগ্রহ করছেন বিভিন্ন গলির মোড়ে বসার দোকানগুলো থেকে। এসব দোকানে ছোলা, পেঁয়াজু, মুড়ি থেকে শুরু করে নানা ধরনের আইটেম পাওয়া যায়। 

এর বাইরে বড় বড় রেস্টুরেন্টগুলোতে বিভিন্ন ছাড়ে ইফতারের আইটেম বিক্রি করতে দেখা গেছে। তারা মূলত প্যাকেজ বা প্লেট হিসেবে ইফতার বিক্রি করে থাকেন। রেস্টুরেন্টগুলোর ভেতরেই ইফতার গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে বন্ধুদের আড্ডা‌ বা সহকর্মীদের মিলে এসব রেস্টুরেন্টে বসতে দেখা গেছে। 

এছাড়া বনানী ১৭ নম্বর সড়কে বেশ কিছু ছোট বড় ইফতারের দোকান রয়েছে। সাধ্য বুঝে একেকজন একেক দোকান থেকে ইফতার কিনছেন।

বনানীর স্টার কাবাব এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে বরাবরের মতই ভিড় দেখা গেছে। রেস্টুরেন্টের সামনের ফুটপাতের উপর সামিয়ানা টাঙিয়ে ইফতার বিক্রির আয়োজন করেছে। লোকজন লাইন দিয়ে সেখানের হালিম কিনছেন। এছাড়া দই-বড়া আইটেম বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সেখানে প্রতিটি দই-বড়া ৩৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে হালিম সর্বনিম্ন বাটি ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ বাটি ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

/এমএইচএন/এমএসএ