দস্যুর কবলে জাহাজ : মালিকপক্ষের সঙ্গে নাবিকদের কী কথা হলো?
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়া জাহাজে জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন ২৩ নাবিক। তাদের একজনের সঙ্গে সবশেষ শনিবার রাতে মালিকপক্ষের কথা হয়। যদিও মালিকপক্ষ নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই নাবিকের নাম প্রকাশ করেননি।
এ বিষয়ে শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত ৮টায় এমভি আবদুল্লাহর এক নাবিকের সঙ্গে আমাদের সর্বশেষ মোবাইলে কথা হয়েছে। ২৩ নাবিকের সবাই ভালো আছেন। তবে দস্যুরা তাদের এক জায়গায় জড়ো করে রেখেছে।
বিজ্ঞাপন
জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে শনিবার চট্টগ্রামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটি নিয়ে সরকার কাজ করছে। অতীতেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১০০ দিনের মাথায় একই কোম্পানির জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এখনো আমরা আশা করছি আমাদের যে সমন্বিত প্রচেষ্টা আছে তাতে সুস্থভাবে নাবিকদেরকে ও জাহাজটাকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব।
আরও পড়ুন
গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। জাহাজটি ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
এমআর/জেডএস