সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে সংবাদ প্রকাশে দায়িত্বশীলতার প‌রিচয় দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তি‌নি জানান, মিডিয়ার নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট হচ্ছে।

শ‌নিবার (১৬ মার্চ) চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবা‌দিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের টেলিভিশনে কি দেখাচ্ছে, কি হচ্ছে সেটা কিন্তু যারা হাইজ্যাক করেছে তারা দেখে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব টেলিভিশন দেখার সুযোগ আছে। যখন এ বিষয়টাকে অতি গুরুত্ব দেওয়া হয়, জিম্মিদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া যখন ওরা দেখে, তখন হাইজ্যাককারীদের অবস্থান আরও অনমনীয় হয় এবং হচ্ছে। এই নেগেটিভ ইম্প্যাক্টটা হচ্ছে।

বিষয়টিকে সবারই সতর্কভাবে দেখা দরকার উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য তো নাবিকদের ও জাহাজটাকে মুক্ত করা। সুতরাং আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীলভাবে যদি আচরণ করি তাহলে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সহজ হবে।

তিনি বলেন, এটি নিয়ে সরকার কাজ করছে। অতীতেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১০০ দিনের মাথায় একই কোম্পানির জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এখনো আমরা আশা করছি আমাদের যে সমন্বিত প্রচেষ্টা আছে, সুস্থভাবে নাবিকদের ও জাহাজটা মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব।

গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে জলদস্যুরা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল। জলদস্যুদের কবলে পড়া চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের জাহাজটি পরিচালনা করছে গ্রুপটির সহযোগী সংস্থা এস আর শিপিং লিমিটেড। জাহাজে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন।

এনআই/এমআর/এসএসএইচ