কম দামে মাংস কিনতে খলিলের দোকানে ক্রেতাদের লম্বা লাইন
বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। শাহজাহানপুরের খলিল বিক্রি করছেন মাত্র ৫৯৫ টাকায়। ফলে কম দামে মাংস কিনতে তার দোকানে লাইন দিয়েছেন ক্রেতারা।
শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজাহানপুরে নিজের দোকানের সামনে কথা হয় আলোচিত ব্যবসায়ী খলিলের সঙ্গে। ঢাকা পোস্টকে তিনি জানান, কম দামে মাংস বিক্রি করতে গিয়ে কিছুটা লোকসানে পড়ছেন। তবু রমজান মাসে লোকসান দিয়েই মাংস বিক্রি করে যাবেন। গতকাল শুক্রবার তার দোকানে ৫০টি গরু বিক্রি হয়েছে বলৈ জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
খলিল বলেন, আজ ইফতারের আগ পর্যন্ত মাংস বিক্রি হবে। ৩৫টি গরুর সব মাংস বিক্রির পর দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত কম দামে বিক্রি চলবে। তারপর আর বিক্রি করার পরিকল্পনা নেই।
তার মাংসের দোকানে ৪০ জন কর্মচারী কাজ করছেন উল্লেখ করে খলিল বলেন, রমজানের পর আগের দামে অর্থাৎ ৬৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হবে।
কম দামে গরুর মাংস ক্রয় করতে সকাল থেকে খলিলের মাংসের দোকানে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ।
মো. আব্দুল মতিন নামে এক ক্রেতা বলেন, এর আগে ৬৯৫ টাকায় আমি এখান থেকে গরুর মাংস কিনেছি। তখন দেখেছি মাংসের মান ভালো ছিল। এখন রমজান উপলক্ষ্যে আরও ১০০ টাকা কমিয়ে ৫৯৫ টাকা করা হয়েছে। এখন মাংসের মান কেমন সেটা বলতে পারছি না। তবে, আমাদের মতো নিম্নমধ্যবিত্তের পক্ষে ৭৫০ বা ৮০০ টাকা দিয়ে মাংস কিনে খাওয়া একটু কঠিন। তাই এখান থেকে মাংস কিনতে এসেছি।
আরও পড়ুন
মোহাম্মদ হোসেন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, খলিল যদি কম দামে মাংস বিক্রি করতে পারে, অন্য ব্যবসায়ীরা কেন দাম কমাতে পারছেন না? সেটা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের মতো বয়স্ক মানুষের পক্ষে এইভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস ক্রয় করা কষ্টকর। সব জায়গায় যদি এই দামে (৫৯৫ টাকায়) মাংস বিক্রি হতো তাহলে এত লম্বা লাইন হতো না।
তিনি বলেন, দাম যেহেতু কম, তাই মাংসের মানও কিছুটা কম হতে পারে। এতে দোষের কী আছে?
এদিকে খলিল শুধু গরুর মাংস নয় খাসির মাংসও বিক্রি করছেন। তবে, গরুর মাংস কেনার জন্য ক্রেতাদের যে লম্বা লাইন সেরকম ভিড় নেই খাসির মাংসের জন্য। গরুর মাংসের প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস।
দোকানের এক কর্মচারী জানান, খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১শ টাকা।
এএইচআর/এমএ