ঈদে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রোধে সিক্রেট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শুধু আপাতত এইটুই বললাম, সব এজেন্সিগুলোকে (গোয়েন্দা সংস্থা) আমরা সম্পৃক্ত করেছি।’

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সাংবাদিকদের এ বলেন তিনি।

জিল্লুল হাকিম বলেন, সাংবাদিকরা অনেক সময় বলে থাকেন যে রেলের টিকিট কালোবাজারের সঙ্গে সহজ ডট কমের লোকজন জড়িত। আমরা বিষয়টি অবগত আছি। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। আমরা যাত্রীদের সেবার মান বাড়াতে চাই। যাত্রীদের অসুবিধায় ফেলে আমরা কাউকে কোনো সুযোগ সুবিধা দিতে চাই না। সে যেই হোক না কেন। টিকিট কালোবাজারি রোধে আমরা একটু সিক্রেট ব্যবস্থা নিয়েছি। আপাতত এতটুকুই বললাম। আমরা নতুন নতুন কিছু যুক্ত করেছি।

সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, আগামী ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সবাই যেন ঠিকঠাকভাবে অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন, সেজন্য দুই অঞ্চলের টিকিট দুই সময়ে দেওয়া হবে। পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টায়।

তিনি বলেন, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে। এবার ঈদে ঢাকা থেকে বহির্গামী আন্তঃনগর ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস