ঈদে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ‘ইমার্জেন্সি ডিউটি’
ঈদ যাত্রায় ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ও শিডিউল বিপর্যয় নিরসনে বেশ কয়েকটি কর্ম পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরমধ্যে নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা নিশ্চিত করে যাত্রী সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা রক্ষার জন্য ডিভিশনাল ও জোনাল কন্ট্রোলে পৃথক মনিটরিং সেল গঠন করে কর্মকর্তাদের ইমার্জেন্সি ডিউটি প্রদান করা হবে।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী।
বিজ্ঞাপন
রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজি বলেন, সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও জংশন স্টেশন এবং সিগন্যাল কেবিনে কর্মকর্তা, পরিদর্শকদের তদারকির মাধ্যমে ট্রেন অপারেশন পরিচালনা করা হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও ট্রেন শিডিউল অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে রেলপথ পেট্রোলিং এর ব্যবস্থা করা হবে। রেল ব্রিজসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিগনালিং ব্যবস্থা, কোচ এবং ইঞ্জিনের নিবিড় পরিচর্যা ও পরীক্ষা সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্ঘটনাস্থলে প্রেরণের লক্ষ্যে রিলিফ ট্রেন সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হবে।
আরও পড়ুন
সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ঈদে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৮৬টি (পাহাড়তলি ওয়ার্কশপ থেকে ৫০টি এমজি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৩৬টি) বিজি যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ২৪৮টি (পূর্বাঞ্চল ১৩২টি ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে ১১৬টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।
/এমএইচএন/এমএসএ