গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ীতে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ ৩৬ জন দগ্ধ হয়েছেন।

বুধবার (১৩ মার্চ) পৌনে আটটার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা তরিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে নারী-শিশুসহ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে জরুরি বিভাগে ৩৬ জন এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। তাদের অনেকের শরীরে ১০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছেন।

জরুরি বিভাগ থেকে দগ্ধদের মধ্যে শিশুসহ সবার নাম জানা গেছে। দগ্ধরা হলেন— নাদীম (২২), নীরব (১০), সুফিয়া (৯), মিরাজ(১৩), তারেক রহমান, সোলায়মান (৯) আইসিইউতে আছেন, লালন (২৩), নাঈম (৮) আইসিইউতে ভর্তি, শিল্পি (৪০), ইয়াসিন আরাফাত (২১), সুমন (২৬), মুহিদুল (২৭) আইসিইউতে ভর্তি, মুন্নাত (১৮) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি, রাব্বি (১৩) পোস্ট অপারটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি, নার্গিস(২৫) সাদিয়া খতুন (১৮), জহিরুল (৩২) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি,  আরিফ (৪০) আইসিইউতে ভর্তি, রত্না বেগম (৪০), তাইবা (৫), মনসুর আলী (৩০), নূরনবী (৩) ১০%, রহিমা (৩), কবীর (৩০), কুদ্দুস (৪৫), তৌহিদ (৭), সোলায়মান মোল্লা (৪৫) ৯৫%, মশিউর (২২), লাদেন (২২), কমলা খাতুন (৬৫), নিলয় (৩), বাশার (৪৫), মো. ফেরদৌস (১৯), আজিজুল (২৪), সুমি (১৯), মোতালেব (৪০)।

দগ্ধদের দেখতে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, ৭ শিশুসহ দগ্ধ ৩৬ জনের কেউ শঙ্কামুক্ত না। এদের মধ্যে ৮ জনের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, সংবাদ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের টিম যায়। সেখানে গিয়ে দগ্ধ কাউকে পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এসএএ/এসএম