বিদ্যুতের বর্ধিত ক্যাপাসিটি না কমিয়ে ভোক্তার ওপর চাপ অযৌক্তিক

বিদ্যুতের দামবৃদ্ধির ফলে ভোক্তাদের মাসিক খরচ গড়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারের খরচ বাড়বে ১০৬ থেকে ১১৮ টাকা।

বুধবার (১৩ মার্চ) সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি : ভর্তুকি সমন্বয়ের অন্য বিকল্প আছে কী? শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিদ্যুতের বর্ধিত ক্যাপাসিটি না কমিয়ে এ খাতের ভর্তুকির চাপ সম্পূর্ণ ভোক্তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক। ইউনিট প্রতি ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। ৮ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে ভোক্তার ওপর এক বছরের ব্যবধানে সাড়ে ১৭ শতাংশ বাড়তি খরচের বোঝা চাপিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়।

সিপিডির গবেষক বলেন, ভর্তুকি সমন্বয়ের নামে দরবৃদ্ধির ফলে শিল্পকারখানার খরচের পাশাপাশি ভোক্তাদের খরচ বাড়বে ৯.৪ শতাংশ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিইআরসিকে পাস কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক।

চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ হারে বাড়তে থাকা উৎপাদন সক্ষমতা সমন্বয় না করে ভোক্তার ওপর বাড়তি চাপ দেওয়ার সমালোচনা করেন সি‌পি‌ডির গবেষকরা।

তিনি বলেন, পরিকল্পনামাফিক সরকার আরও দুইবার দাম বৃদ্ধি করলে অর্থনীতিতে চাপ আরও বাড়বে। তাই বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য সমন্বয়ে বিইআরসির গণশুনানির পদ্ধতি পুনর্বহালের দা‌বি সংস্থা‌টির।

বিদ্যুতের বর্ধিত ক্যাপাসিটি না কমিয়ে এ খাতের ভর্তুকির চাপ সম্পূর্ণ ভোক্তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক— বলেন সিপিডির গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

প্রসঙ্গত, ১ মার্চ থেকে নির্বাহী আদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। এই দফায় দাম বাড়েছে ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে চলতি বছরের দুই মাসে সরকার ১৫ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়াল।

এনআই/এসএম