মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সীমান্তরক্ষীদের আগের মতো ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে আগেও দেশটির সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারেরও কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও তাই করা হচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উদ্বায়ী পরিস্থিতির জন্যই বারবার এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে কী না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে, এখনও ডাকা হয়নি।
সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি রাখা হচ্ছে- এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে। এটাই আমাদের শক্তি। পাশাপাশি সরকার সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার একটি পরিকল্পনা করছে, যাতে ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করতে না পারে।
আরও পড়ুন
এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মানসিকতা একটি বিষয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের বাজারে যে ফুলকপি ২০ টাকা, সেটিই বসতবাড়ির গলিতে ৬০ টাকা হাঁকেন ভ্যানে সবজি বিক্রি করা বিক্রেতারা। ২০ টাকার কপি বহন খরচসহ ৩০ টাকা হতে পারে কিন্তু ৬০ টাকা চাওয়া চরম অতিরিক্ত। এটি মানসিকতার ব্যাপার।
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আশা করি পবিত্র রমজানে ব্যবসায়ীদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা অতিরিক্ত মুনাফার প্রবণতা থেকে বিরত থাকবে।
বিএনপির কিছু নেতা বলছেন, জেল থেকে মুক্তি পেলেও তারা পুরোপুরি মুক্ত নন, বাকস্বাধীনতা নেই, এ নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতারা সকাল-বিকাল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে, সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে বলে। আরা তারা বলছে, বাকস্বাধীনতা নেই? আসলে নির্বাচনের পর চরম হতাশার মধ্যে এসব কথা বলে তারা দলটা টিকিয়ে রাখতে চায় মাত্র, অন্য কিছু নয়।
এনআই/পিএইচ