বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দেশের বড় কর্পোরেট কোম্পানিগুলো রেস্তোরাঁ খাতকে দখলে নিতে চায়। সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম করে রেস্তোরাঁ ব্যবসাকে শতভাগ কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর অধীনে নিতেই কোনো সমাধান না খুঁজে রেস্টুরেন্ট সিলগালা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান এসব কথা বলেন। বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। এজন্য বর্তমান সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা প্রয়োজন। তার হস্তক্ষেপ না হলে বেকারি শিল্পের মতো রেস্তোরাঁ শিল্পও ধ্বংস হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ইমরান হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকায় ৪০টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স থাকার পরও আজ সকালে নবাবী রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বেইলি রোডের আগুনের জন্য রেস্তোরাঁ, ভবন মালিকসহ সরকারি সব সংস্থা দায়ী। সেই ভবনে কয়েকদিন আগে একটি দুর্ঘটনা ঘটলেও মালিকপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। রেস্তোরাঁ ব্যবসার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। সেখানে সকল স্টেক হোল্ডার থাকবে। 

বেইলি রোডের দুর্ঘটনার জন্য সরকারের উদাসীনতাও দায়ী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে অভিযানের নামে ঢাকা শহরে তাণ্ডব চলছে। হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কে আমাদের অর্থ ফিরিয়ে দেবে? এসব অসৎ অফিসাররা কেন এতদিন ঘুমিয়ে ছিলেন? সিলিন্ডারের লাইসেন্স চাচ্ছে, আমরা কেন লাইসেন্স নেব? এ অবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি মো. ওসমান গনি, সহসভাপতি শাহ সুলতান খোকন, যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম।

আরএইচটি/এনএফ