চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় একটি সুগার মিলে (চিনির কারখানা) লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কারখানাটিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী কাজ করছে। 

সোমবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপরই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগুন এখনো নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে আগুন ওই কারখানা থেকে ছড়ানোর আশঙ্কা নেই। চিনি পুড়ে গলে গেছে, সেটি এখনো জ্বলছে।

জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর পাশে ইছানগর এলাকায় চিনি কারখানাটিতে বিপুল পরিমাণ চিনির কাঁচামাল মজুত ছিল। সম্প্রতি ব্রাজিল থেকে আনা ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি সেখানে রাখা হয়েছিল। যেগুলো পুড়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানাটির কর্মকর্তারা। 

এ বিষয়ে মোহাম্মদ ফয়সাল নামে এক কর্মকর্তা বলেন, কারখানার ইউনিট ওয়ানে আগুন লেগেছে। যেখানে এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। সেগুলো সব পুড়েছে। রমজানের জন্য চিনিগুলো আমদানি করা হয়েছিল।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এত বড় দুর্ঘটনায় চিনি পুড়ে যাওয়ার কারণে রমজানের বাজারে অবশ্যই এর প্রভাব পড়বে। ভারত থেকে চিনি আমদানির কথা। এটি হলে কিছুটা প্রভাব কম পড়বে।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রতি মাসে কম-বেশি ১ দশমিক ৩৫ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে। তবে শুধু রমজান মাসে চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে ৩ লাখ টন হয়ে যায়। এ থেকে বোঝা যায় সাধারণ এক মাস এবং রমজান মাসের প্রায় আধা মাসের চিনি এই আগুনে পুড়েছে। 

এমআর/জেডএস