রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) দিবাগত রাতে রমনা মডেল থানায় এসআই (নি.) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলার আসামিরা হলেন, ভবনের সত্ত্বাধিকারী আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ (২ নং আসামি), চুমুক ফাস্ট ফুডের মালিক আনোয়ারুল হক (২৯), মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল (৪০) ও কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ (৩৪)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেকেই আসামি করা হয়েছে।

মামলায় পরস্পর যোগসাজশে অবহেলা, অসাবধানতা, বেপরোয়া, তুচ্ছতাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজের জন্য গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নি দগ্ধ ও শ্বাসনালীতে ধোঁয়া প্রবেশ করে জীবন বিপন্নসহ মারাত্মক জখম ও এর ফলে মৃত্যু ঘটানো এবং ক্ষতি সাধন করার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

এদিকে মামলা দায়েরের পর চুমুক রেস্টুরেন্টের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

শনিবার (২ মার্চ) ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বেইলি রোডের আগুন লাগার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কয়েকজন আটক আছে। তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন ১২ জন। ৭তলাবিশিষ্ট ওই ভবনের সব কটি তলায়ই রেস্তোরাঁ ছিল।

এমএসি/এমএ