স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেছেন, ঢাকার অনেক বাণিজ্যিক ভবনে যেভাবে বিভিন্ন তলায় রেস্তোরাঁ তৈরি করা হয়েছে, তাতে মূলত ভবনগুলো ‘টাইম বোমা’য় পরিণত হয়েছে। যেন কখন এই বোমা বিস্ফোরিত হবে, সেই অপেক্ষায় আছেন সবাই।

শুক্রবার সকালে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি রোডের বহুতল ভবন গ্রিন কোজি কটেজ ঘুরে দেখে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় এ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনাকে অবহেলাজনিত ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বলে দাবি করেন তিনি।

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, যে কার্যক্রম চালানো হবে, সে অনুযায়ী ভবনের নির্মাণ-কাঠামো ও নকশা করতে হয়। ইচ্ছা করলেই বাণিজ্যিক বা আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ করার কোনো সুযোগ নেই। রেস্তোরাঁর জন্য যে ধরনের রান্নাঘর দরকার হয়, তা সাধারণ বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য তৈরি করা ভবনে থাকে না। রেস্তোরাঁর রান্নাঘরের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার দরকার হয়।

ঢাকার এই ভবন ছাড়া বনানী, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন জায়গায় অনেক বহুতল ভবনের বিভিন্ন তলায় রেস্তোরাঁ তৈরি করা হয়েছে। সেসব ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা কতটুকু মেনে চলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

ইকবাল হাবিব বলেন, অগ্নিনিরাপত্তার প্রথম শর্ত অনুযায়ী উন্মুক্ত স্থানে সিলিন্ডার রাখার সুযোগ নেই। আর ভবনের জরুরি নির্গমন (ফায়ার এসকেপ) পথেও এ ধরনের সিলিন্ডার রাখা যাবেই না। অথচ ভবনটির জরুরি নির্গমন পথে রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার সজ্জিত করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আল্লাহর অসীম রহমত যে, সেগুলো ব্লাস্ট (সিলিন্ডার বিস্ফোরণ) করেনি। যদি কোনো কারণে সেখানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটত, তাহলে আগুন পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ত।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন ১২ জন। ৭তলাবিশিষ্ট ওই ভবনের সব কটি তলায়ই রেস্তোরাঁ ছিল।

এমএ