২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পত্রিকায় মোট ২২২ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১৬ জন কন্যাশিশু এবং নারী ১০৬ জন নির্যাতনের শিকার।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু জানান, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের তৈরি করা পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মহিলা পরিষদের তথ্য প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্যাতনের শিকার ২২২ জন নারী ও কন্যা শিশুর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৬ জন কন্যাশিশুসহ ৪২ জন। ৩ জন কন্যাশিশুসহ ১১ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ৫ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১১ জন কন্যাশিশুসহ ১৬ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৪ জন কন্যাশিশু। নারী ও কন্যাশিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে ৩টি। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২ জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২ জন।

যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার ৪ জন, এর মধ্যে ১ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ জন কন্যাশিশুসহ ৭ জন।

৩ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১ জন কন্যাশিশুসহ ২ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন কারণে ১২ জন কন্যাশিশুসহ ৪৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ১ জন কন্যাশিশুসহ ৩ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৪ জন কন্যাশিশুসহ ১৩ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

৫ জন কন্যাশিশুসহ ১৭ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। এছাড়াও ৪ জন কন্যাশিশুসহ ৫ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। ৪ জন কন্যাশিশুসহ ৭ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। ২০ জন কন্যাশিশুসহ ২১ জনকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ২ জন কন্যাশিশুসহ ৪ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এছাড়া ৫ জন কন্যাশিশুসহ ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

জেইউ/পিএইচ