প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ  (আইজিস ব্যাজ) পেয়েছেন খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই- নিরস্ত্র) মিল্টন কুমার দেব দাস। কল্যাণকর ও ভালো কাজের জন্য এটি পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্র্যাউন্ডে মিল্টন কুমারকে এই ব্যাজ পরিয়ে দেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

২০২৩ সালে সততা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব, প্রশংসনীয় ও দৃষ্টান্তমূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই ‘পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ (আইজিস ব্যাজ) পেয়েছেন পুলিশের ৪৮৮ কর্মকর্তা ও সদস্য।

জানা যায়, কর্মক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন, বাহিনীর মর্যাদা বৃদ্ধি হয়েছে এমন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রতি বছর পুলিশ সপ্তাহে আইজিপি ব্যাজে মনোনীত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের এ পদক দেওয়া হয়।

এছাড়া যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, জননিরাপত্তা বিধান, জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড, মামলার রহস্য উদঘাটন, ভালো পুলিশিং, সরকারি ও ব্যক্তিগত কাজের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি বাড়ানোসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রাখেন তাদের এ পদকের জন্য নির্বাচিত করা হয়।

নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে মিল্টন কুমার বলেন, আমি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছি। মানুষের উপকারে নিজেই এক প্রকারের প্রশান্তি খুঁজে পাই।

হারানো মোবাইল খুঁজে বের করাই মিল্টন কুমারের অন্যতম নেশা। কর্মজীবনে ছিনতাই বা হারিয়ে যাওয়া প্রায় সাড়ে সাত হাজার মোবাইল প্রকৃত গ্রাহকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। ১১ বছরের চাকরি জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় পার করেছেন হারানো মোবাইল উদ্ধারের নেশায়। এমন মানবিক কাজে ডিএমপি কমিশনারের কাছ থেকে তিনবার পুরস্করপ্রাপ্ত হয়েছেন। এছাড়া কুষ্টিয়া থাকাকালীন নয়বার ও নড়াইলে চারবার পুরস্কৃত হয়েছেন মিল্টন কুমার।

মিল্টন কুমার দেব দাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। খিলগাঁও থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালীতে।

এআর/এসএম