অত্যাবশ্যকীয় ১১৭টি ওষুধের দাম বাড়ানো হয়নি, দাবি ঔষধ প্রশাসনের
অত্যাবশ্যকীয় ১১৭টি ওষুধের দাম বাড়ানো হয়নি বলে দাবি করেছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।
তিনি বলেন, যেসব ওষুধ না খেলে মানুষ মারা যেতে পারে, সেই ১১৭টি ওষুধের দাম এক পয়সাও বাড়ানো হয়নি।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হৃদরোগীদের স্ট্যান্টের দাম নিয়ে আয়োজিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, বর্তমানে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। আর ওষুধের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আনতে হয়। সেই অনুযায়ী, কিছু দামে সমন্বয় করা হয়েছে। তবে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম এক পয়সাও বাড়ানো হয়নি। ১১৭টি ওষুধের দাম সরকার আগে যা ঠিক করে রেখেছিল, সেগুলো আমরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি।
তিনি বলেন, তবে যেসব পণ্য আমরা বিদেশি থেকে আনি, সেগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে কিছু সমন্বয় করা হয়েছে। তবে স্বাভাবিকভাবে বেশি বাড়তে দেওয়া হয়নি।
মহাপরিচালক বলেন, যেসব ওষুধ না খেলে মানুষ মারা যেতে পারে, সেই ১১৭টি ওষুধের দাম এক পয়সাও বাড়ানো হয়নি। এর বাইরে কিছু নতুন নতুন ওষুধ এসেছে। সেগুলোর দাম বাড়ছে, আমি স্বীকার করি। তবে সেটা ডলারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে।
এর বাইরে কোনো ওষুধের দাম বৃদ্ধির সুযোগ তারা দেননি বলেও দাবি করেন তিনি।
ওষুধের দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে, এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সঠিক, কোনো ক্ষেত্রে সঠিক নয়। সঠিক না এ কারণে যে কিছু কিছু ওষুধের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। কিছু কিছু ওষুধের দাম ফ্লেক্সিবল (নমনীয়) আছে। সেটার দাম নির্ধারণে আজ আমরা বৈঠক করতে পারিনি। তবে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
এ সময়ে স্ট্যান্টের দাম বর্তমানে কত আছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছরের ১২ ডিসেম্বরের যেটা ঠিক করা হয়েছে, সেটাই থাকবে।
ওষুধ খাতে দাম নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সিন্ডিকেটের যে অভিযোগ রয়েছে, এ নিয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমার কাছে তা মনে হয় না। যেভাবে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট। যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, সেটা যথার্থ।
এতে দুই পক্ষের জন্যই সহনীয় উল্লেখ করে সচিব বলেন, যে কারণে নতুন করে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় আমরা যাইনি। যেটা চলছে, সেটা চলবে। যদি ভবিষ্যতে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হয়, আমরা বৈঠক করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
কেউ দাম বাড়িয়ে বিক্রি করলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্থা আছে। আইনে শাস্তির ব্যবস্থা আছে।
তিনি বলেন, কার্ডিয়াক সেন্টারের বিশেষজ্ঞরা আজকের বৈঠকে ছিলেন, তাদেরও অনুরোধ করেছি মনিটরিং করতে। কারণ সরকারের একার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব হবে না। এটা আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াস লাগবে।
এসএইচআর/এসকেডি