সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুস দাবির অভিযোগে দেশের গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও যশোর জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পরিচালিত অভিযানে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। শুধু তাই নয়, গাইবান্ধায় অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করার সময় দুদক টিম তিনজন দালালকে হাতেনাতে আটক করে।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুস দাবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের রংপুর অফিস এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। 

এনফোর্সমেন্ট টিম প্রথমে ছদ্মবেশে অভিযোগস্থল পর্যবেক্ষণ করে। এ সময় কার্যালয়ের বাইরে অবস্থিত বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানদার ও কতিপয় দালালের মাধ্যমে সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক টিম। সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট অতি দ্রুত করে দেওয়ার নাম করে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করার সময় দুদক টিম তিনজন দালালকে হাতেনাতে আটক করে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের প্রত্যেককে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। 

অন্যদিকে, একই দিন যশোর জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, স্মার্টকার্ড প্রদানসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানে অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ অন্যান্যদের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাশাপাশি অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলি সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া, আগত সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে এনফোর্সমেন্ট টিম। 

উপজেলা নির্বাচন অফিস হতে রেকর্ডপত্র পাওয়া গেলে তা পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে। 

আরএম/কেএ