র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বাহিনীটির সাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাঁচটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তবে পর্যবেক্ষণগুলো কী কী সেটি জানাননি তিনি।

ঢাকা সফররত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখারের নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধি দল রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, র‍্যাবের স্যাংশন তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তারা পাঁচটি অবজারভেশন (পর্যবেক্ষণ) দিয়েছে। তাদের অবজারভেশনগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। তারাও কীভাবে এটি তুলে নেওয়া যায় সেটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

পাঁচটি পর্যবেক্ষণ কী কী জানতে চান সাংবাদিকরা– জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেই অবজারভেশনগুলো নিয়ে তারা আমাদের সঙ্গে কমিউনিকেট করেছে। এটা র‍্যাবের কাছে দেবে। যখন আমরা পাব তখন এটি নিয়ে কাজ করব। অবজারভেশনগুলোর বিস্তারিত পাওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।

এসময় সাংবাদিকদের বাইডেনের চিঠির প্রতিউত্তরে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি পাঠানোর বিষয়টি জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কীভাবে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীরতর করতে পারি এবং সম্পর্কের নতুন যুগ কীভাবে শক্তিশালী করতে পারি, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। তারাও আমাদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চায়। সম্পর্ক উন্নয়ন করার লক্ষ্যেই কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সেই চিঠিতে তিনি (বাইডেন) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন অধ্যায়ে সম্পর্ক করার বিষয়ে তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন। আজ আমি তাদের হাতে (মার্কিন প্রতিনিধির) প্রধানমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, সেটির কপি হস্তান্তর করেছি। মূল কপিটি আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হোয়াইট হাউসে হস্তান্তর করবেন।

এনআই/এসএসএইচ