প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ বিকেল পর্যন্ত
সংরক্ষিত নারী আসনের গেজেট মঙ্গলবার
সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আজ(রোববার) বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) গেজেট প্রকাশ করে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে যুগ্মসচিব মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের জোটগতভাবে মনোনয়নপত্র পেয়েছি ৪৮টি। একইসাথে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি দুটি। আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাছাই হয়েছে এবং তাদের তালিকা অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজকে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল। মনোনয়নপত্র যারা জমা দিয়েছেন, তাদের আজকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। যেহেতু আজকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি, সেহেতু আমাদের নির্বাচনী যে আইন রয়েছে, সে আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করার প্রবিধান রয়েছে। আমরা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারব।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, নির্বাচিত সংরক্ষিত সব নারী সংসদ সদস্যদের তালিকা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে টানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিজি প্রেসে চিঠি দেবে। বিজি প্রেস নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশ করবে। এরপর গেজেটের কপি আমরা সংসদ সচিবালয়ে পাঠিয়ে দেবে। পে সংসদ সচিবালয় তাদের শপথ পাঠ করাবে।
এর আগে, নির্বাচনের কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কমিশনের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বাছাইয়ে কারো নাম বাদ না পড়লেও মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে কেউ চাইলে আপিল করতে পারবেন। আর ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আপিল নিষ্পত্তির জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন রাখা হয়েছে। এরপর কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে বৈধ প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
সাধারণ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা জোটগুলোর পাওয়া আসনের বিপরীতে সংখ্যানুপাতে সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টন করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৪টি আসনে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন ৬২টি আসনে। তারা সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দুটি দল দুটি আসন পেয়েছে। তারাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করেছে। ফলে আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৮টি আসন।
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তারা দুটি সংরক্ষিত নারী আসন পাবে।
সাধারণত সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমানসংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়। এটি হলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষে একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে। সেটি হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
এসআর/এমজে