বছিলার লাউতলা খাল পরিষ্কারে অংশ নেওয়ার পরই এবার গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে খালের অংশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনাগুলো। মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতেই এটি হচ্ছে। এ সময় অন্যান্য স্থাপনার পাশাপাশি একটি ১০তলা ভবনের অর্ধেক অবৈধভাবে গড়ে ওঠায় এটিরও ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বছিলার ৪০ ফিট নামক স্থানে খালের অংশের স্থাপনাগুলো বল্ডুজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কাজে অংশ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৬টি বিশেষ বুল্ডজার ও এক্সেভেটরসহ অন্যান্য যন্ত্রগাড়ি।

এর আগে বছিলার লাউতলা খালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে মেয়র নিজেই নেমে পড়েন খালে। গ্লোবস পড়ে খালে পরিষ্কারে অংশ নেন।

এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা খালে ময়লা ফেলে তাদের মস্তিষ্কে ময়লা আছে, তাদের মনে ময়লা আছে বলেই তারা এভাবে খালে ময়লা ফেলতে পারে। সিটি কর্পোরেশের খালের জায়গায় কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবে না। তারা যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন খালের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো আমরা উচ্ছেদ করবই।

এর আগে এসব বছিলার পুলিশ লাইন মাঠে  বিডি ক্লিনের ১৫ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীদের শপথ বাধ্য পাঠ করান ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এদিকে খাল উদ্ধার ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ময়লা ও দখলমুক্ত করে রাজধানীর খালগুলোর আগের রূপে ফেরানো হবে।পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি। পরিবেশ এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, রাস্তা ঘাট ডুবে যায়। কারণ খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে না। ময়লা ফেলে খালগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। খাল পুনরুদ্ধারে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।

এএসএস/এমএ