দে-দৌড়, টপবাজ, হ্যাঁচকা টান গ্রুপের ৫০ কিশোর গ্রেপ্তার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে কিশোর গ্যাংয়ের ৫০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১টি লাঠি, ১৭টি চাকু, ৬টি ছুরি, ১টি সুইচ গিয়ার চাকু, ১টি চাপাতি, ১টি চায়নিজ কুড়াল ও ১টি ইলেকট্রিক শক দেওয়ার মেশিন উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা টপবাজ গ্রুপ, গ্যাং স্টার প্যারাডাইস, বয়েস হাই ভোল্টেজ, দে-দৌড়, হ্যাঁচকা টান ও বুস্টার গ্রুপসহ বিভিন্ন কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য।
র্যাব-১০ এর কর্মকর্তারা জানান, অভিযুক্তরা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যা চেষ্টা, পাড়া-মহল্লায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ, হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপারএম. জে. সোহেল বলেন, সম্প্রতি কিশোর গ্যাং কালচার সারাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরণও পাল্টে যাচ্ছে যেমন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও নাশকতা থেকে শুরু করে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা। বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে এমনকি হিরোইজম প্রকাশ করতেও কিশোররা পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং কালচার গড়ে তুলছে।
গত এক বছরে ৩৪৯ জন কিশোর গ্যাংয়ের বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে র্যাব। কিশোর গ্যাং নির্মূলে র্যাবের অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাত পর্যন্ত র্যাব-১০ এর একাধিক দল রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে টপবাজ গ্রুপের রাব্বি, গ্যাং স্টার প্যারাডাইস গ্রুপের- ইউসুফ, বয়েস হাই ভোল্টেজ গ্রুপের- সাইফুল, দে-দৌড় গ্রুপের- মাইদুল, হ্যাঁচকা টান গ্রুপের- শাহাদাৎ ও বুস্টার গ্রুপসহ বিভিন্ন কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জেইউ/এসকেডি