করোনা ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধী একজনের রিকশা আটকে দেওয়া হয়। এরপর তার দেওয়া এক বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এবার শারীরিক প্রতিবন্ধী সেই রিকশাচালককে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভুঁইয়া।

বুধবার (২১ এপ্রিল) ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভুঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে রিকশা চালকের কান্না দেখার পর থেকে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। অবশেষে আজ তাকে রাজধানীর অদূরে ফরিদাবাদের এক গ্যারেজে খুঁজে পাই।

ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভুঁইয়া

ব্যারিস্টার আহসান বলেন, ওই রিকশাচালকের নাম রফিক। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে। বাড়িতে তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাকে স্বাবলম্বী করার জন্য আমার পরিবর্তন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৫০ হাজার টাকা আজকে তার হাতে তুলে দিয়েছি। বাকী ৫০ হাজার টাকা অচিরেই তাকে দেব। যেন তিনি গ্রামে গিয়ে ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারেন। টাকা পেয়ে রিকশাচালক রফিক খুবই খুশি হয়েছেন।

এদিকে ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভুঁইয়া তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রিকশাচালক রফিকের হাসিমাখা একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেন, আলহামদুল্লিাহ। #PoribortonKori

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছবিতে সাড়ে ১১ হাজার লাইক-রিয়েকশন, প্রায় এক হাজার কমেন্ট ও ১৩শর বেশি শেয়ার হয়েছে। ব্যারিস্টার আহসানের সহযোগিতার জন্য মানুষ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভুঁইয়া গত বছর দেশে করোনা মহামারির শুরু থেকেই থেকেই গরীব-অসহায় মানুষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছেন।

গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ওই ভিডিওতে রিকশাচালক রফিককে কান্নারত অবস্থায় বলতে শোনা যায়, আমরা প্রতিবন্ধী কাজ করে খেতে চাই। সেটাও করতে পারি না। বিধিনিষেধের মধ্যে তিনি তার ব্যাটারি চালিত রিকশায় যাত্রী নিয়ে কাকরাইল যাচ্ছিলেন। পথে ট্রাফিক পুলিশ তার রিকশা আটকে দেয়। তাকে ১২শত টাকা দিতে বলা হয়। নইলে রিক্সা ডাম্পিংয়ে দেওয়া হবে। 

তিনি কান্নারত অবস্থায় বলেন, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী। আমার ব্যাটারি চালিত রিকশা চালানোর অনুমতি আছে। অথচ আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হচ্ছে। আমি চারদিন ধরে কাজে বের হতে পারি না। আমার কাছে আছে ১৫০ টাকা। আমি কীভাবে ১২০০ টাকা দিয়ে রিকশা ছাড়িয়ে আনব। 

এরপর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামগুলোতে ভাইরাল হয়। 

এমএইচডি/ওএফ