চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কার্যালয় ঘেরাও, অনশনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় বোর্ডের বর্তমান সচিবকে দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানান তারা।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান এ ঘোষণা দেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী ও বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবেশবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা ঠিক হয়নি। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের নাগরিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কার্যালয় ঘেরাও, অনশনসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করব।

তিনি বলেন, বোর্ডের নানা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথসহ দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করছি। এর মধ্যে তিনি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবেও চলতি দায়িত্ব পেয়েছেন। এর ফলে দুর্নীতির আলামত নষ্টের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তাকে চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, জেলা ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সরোয়ার কামাল দুলু, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্টার মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, আ হ ম নাসির উদ্দিন, রাজা মিয়াসহ অনেকে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ওই দুজনের বিরুদ্ধে গত ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথের স্ত্রী বনশ্রী দেবনাথ মামলাটি করেন। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলাটি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বোর্ড সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন,  মামলা তো আমি করিনি। আমার স্ত্রী করেছে। এটা তো ব্যক্তিগত বিষয়, এটার সঙ্গে বোর্ডের কী সম্পর্ক। তাছাড়া তাদের যদি মনে হয় তাদের সঙ্গে কোনো অন্যায় করা হয়েছে তাহলে তাদেরও তো আইনি প্রতিকার চাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এমআর/এসএসএইচ