‘চলছে গাড়ি, সিসিমপুরে’ স্লোগানে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অমর একুশে বইমেলা মাতাচ্ছে শিকু-ইকরি-হালুম-টুকটুকিরা। তাদের পেয়ে উচ্ছ্বসিতও মেলায় আসা শিশুরা। বইমেলায় শিশুদের বরাবরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে সিসিমপুরের ‘লাইভ শো’।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে শিশুদের জন্য শিশুপ্রহরের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলে এই বিশেষ আয়োজন।

সরজমিনে শিশু প্রহরে গিয়ে দেখা যায়, শিশুরা বাবা-মা কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে মেলায় ঘুরতে এসেছে। সিসিমপুর উপভোগের পাশাপাশি শিশু মঞ্চেও তাদের দৌড়-ঝাঁপ করতে দেখা যায়।

যাত্রাবাড়ী থেকে বইমেলায় ঘুরতে আসা শামছুল ইসলাম এসেছেন দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে। তারা একজন দ্বিতীয়, অন্যজন তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

তিনি বলেন, বাচ্চারা সবসময় স্কুল নিয়েই ব্যস্ত থাকে। পড়াশোনার জন্য বাচ্চাদের চার দেয়ালে আবদ্ধ থাকতে হয়। তাই তাদের বইমেলায় এনেছি যেন তারা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে।

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মালিহা এসেছে আজীমপুর থেকে। তার মা-বাবার হাত ধরে ঘুরতে দেখা যায় শিশু প্রহরের আশেপাশে। সে সিসিমপুর বেশ উপভোগ করেছে এবং শিকুকে তার অনেক ভালো লাগে বলে জানায়। অন্যদিকে কেজিতে পড়ুয়া সালমানের পছন্দ হালুমকে। তাকে দুটি ছড়া আর একটি গল্পের বই কিনতেও দেখা যায়।

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহতাব জানায়, তার গোয়েন্দা সিরিজ পড়তে পছন্দ। রাকিব হাসানের তিন গোয়েন্দার সিরিজেরও ভক্ত সে। তাই এবার সে নতুন কয়েকটি গোয়েন্দা সিরিজের বই কিনেছে।

শিশুপ্রহরের অন্যতম আয়োজন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। নানা বয়সের শিশুরা এখানে অংশগ্রহণ করে।

শিশুদের বইয়ের স্টলে বিক্রিও বেশ ভালো বলে জানান কয়েকজন বিক্রয়কর্মী। বই পড়ি প্রকাশনীর প্রকাশক আপন সরকার বলেন, বাচ্চাদের বাংলা ও ইংরেজি বর্ণমালার বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বাচ্চাদের আরবি শিক্ষার বইও কিনছেন অভিভাবকরা।

ঘাসফড়িং প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী বলেন, বাচ্চাদের জন্য লেখা আনিসুল হকের গুড্ডুবাবুর গল্প, আহসান হাবিবের ছোটদের স্কুলের গল্প ও নীল ডাউনে ফার্স্ট বয় বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।

কেএইচ/এসকেডি