বস্ত্রের চাহিদার পুরোটাই দেশে উৎপাদিত হয় বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের এমপি আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, স্থানীয় বাজারে বাৎসরিক বস্ত্রের চাহিদা প্রায় ৭ মিলিয়ন মিটার। চাহিদা অনুযায়ী দেশে পুরোটাই উৎপাদিত হয়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ওভেন আর ডেনিম বস্ত্রের চাহিদা ৮ বিলিয়ন মিটার। এর মধ্যে চার বিলিয়ন মিটার দেশে উৎপাদিত হয়। ৪ বিলিয়ন মিটার আমদানি করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি বস্ত্রকলের মধ্যে ১৬টি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় পরিচালনার জন্য নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। দুটি চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে দেশে ৯০০টি বেসরকারি বস্ত্রকল রয়েছে।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে বেসরকারি বস্ত্রখাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। দেশে তাঁত বস্ত্র শিল্পে ১৫ লাখ তাঁত শিল্পী নিয়োজিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রায় ৯ লাখ ও পরোক্ষভাবে ৬ লাখ।

নির্বাচনী নাশকতায় রেলের ৯ কোটি টাকার ক্ষতি

নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি, জামায়াত ও তাদের দোসর অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে রেলে আগুন দিয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এতে রেলওয়ের আনুমানিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৪ টাকা।

মোরশেদ খানের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেলওয়ের ৯৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গত একযুগে দেশে ৯৪৭ দশমিক ৯৯ কিমি নতুন রেললাইন নির্মাণ, ৩৪০ দশমিক ১৭ কিমি মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, ১৩৯১ দশমিক ৩২ কিমি রেললাইন পুনর্বাসন/পুনর্নির্মাণ, ১৪৮টি নতুন স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণ, ২৩৮টি স্টেশন বিল্ডিং পুনর্বাসন/পুনর্নির্মাণ, ১০৬২টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ, ৭৯৪টি রেলসেতু পুনর্বাসন/পুনর্নির্মাণ ও ১৩৭টি স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে জিল্লুল হাকিম বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রেলওয়ের ব্যয় ছিল তিন হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। ওই সময়ে রেলওয়ের আয় ছিল এক হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা।

এসআর/এসএম