রমজানে খেজুরের দাম কেজিতে ৯০ থেকে ২০০ টাকা বাড়ার আশঙ্কা
শুল্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় রমজানে খেজুরের সরবরাহ ঘাটতি ও অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ার আশঙ্কা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশন। তারা জানিয়েছে, এবার কেজি প্রতি ৯০ থেকে ২০০ টাকা বাড়তে পারে খেজুরের দাম।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানান সংগঠনটির নেতারা।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেখানে আগে শুল্ক ছিল প্রতি কেজিতে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে ২১ টাকা ৮৪ পয়সা, সেখানে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত শুল্ক দিতে হচ্ছে প্রতি কেজিতে ৬৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। ৭ ফেব্রুয়ারি ১০ শতাংশ শুল্ক কমানো হলেও প্রতি কেজিতে শুল্ক থাকছে ৫৪ টাকা থেকে ১৪৬ টাকা।
তিনি বলেন, শুল্ক আরও কমানো না হলে গত রমজানে যে খেজুর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১১০ টাকা ছিল তা এবার ২০০ টাকা হবে। যে হিমায়িত খেজুরের দাম গতবার ২০০ টাকা ছিল তা এবার ৪০০ টাকা হতে পারে।
আরও পড়ুন
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজার মূল্য স্বাভাবিক রাখতে গত জানুয়ারি মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, গত ৭ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়, কাস্টমসের প্রজ্ঞাপনে খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক বর্ধিত ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। যা খেজুরের বিগত সময়ে বর্ধিত শুল্কায়ন মূল্য থেকে অতি সামান্য পরিমাণে কমানো হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা শুল্ক কমার আশায় বসে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ৪০০-৫০০ খেজুরবাহী কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আছে, যা শুল্ক কমার পরে নেবে বিধায় আমদানিকারকগণ এখনো ডেলিভারি নেয়নি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভারতে শুল্ক ১১ টাকা, আমাদের এখানে শুল্ক ২০০ টাকা। তাহলে এখন ভারত থেকে চোরাকারবারি হয়ে খেজুর আসবে। আমাদের খেজুর কেউ কিনবে না। আমাদের সঙ্গে বসে কথা বলে শুল্ক ঠিক করতে পারত। এতে বাংলাদেশের মানুষও লাভবান হতো।
ব্যবসায়ীরা চাইলেই দ্রব্যমূল্যে স্বাভাবিক রাখা সম্ভব না জানিয়ে সংগঠনের সভাপতি বলেন, সবার কাজ করতে হবে। এমন কিছু কিছু সিদ্ধান্ত হয় যার কারণে চাইলেও দাম ঠিক রাখা যায় না। পরে সবাই দোষ দেয় ব্যবসায়ীদের।
আসন্ন রমজানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন খেজুরের চাহিদা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, কাস্টমস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্দেশে বলব খেজুরকে বিলাসী পণ্য হিসেবে দেখবেন না। এটা একটা সুন্নতি খাবার। এর ওপর শুল্ক কমানো হোক এটাই আমাদের দাবি, যাতে দেশের সব মানুষ রমজানে কম দামে খেজুর খেতে পারে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ কামাল, সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, উপদেষ্টা শামসুল হক, মনির হোসেন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনূস, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রহমান প্রমুখ।
ওএফএ/এমএ