রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পার পাওয়া যায় না, কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতি করলে, আইন লঙ্ঘন করলে তাকে বাঁচানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় একটি জাতীয় দৈনিকের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংসদে পাঠ করে শোনান মুজিবুল হক চুন্নু। যেখানে বলা হয়েছে, বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানের দুটি কাজের একই অনিয়মে দুই কর্মকর্তাকে আলাদা আলাদা শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

ওই বিষয়টি উল্লেখ করে মুজিবুল হক বলেন, কাকে লঘুদণ্ড দিয়েছে, সেটা বড় কথা নয়। এখানে কত বড় অনিয়ম করা হয়েছে। টাকা বাজেয়াপ্ত না করে সমন্বয় করা আইনের চরম লঙ্ঘন। একজন কর্মকর্তাকে বাঁচানোর জন্য টাকাটা বাজেয়াপ্ত না করে সমস্ত আইনকানুন লঙ্ঘন করে ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পার পাওয়া যায় না। একজন সরকারি কর্মকর্তা ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দিল, তাকে বাঁচানোর জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এবং সরকারি ক্রয় বিধিমালার (পিপিআর) চরম লঙ্ঘন করা হলো।

তিনি বলেন, নতুন পূর্ত মন্ত্রী (গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী) ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের। এটা কনফার্ম দুর্নীতি। ওনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব, একজন সচিব কী করে এত বড় দুর্নীতিকে উপেক্ষা করে মন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া এ কাজটা করেছেন। তিনি একটি ঘটনায় বেতন এক গ্রেড কমিয়েছেন, আরেক ঘটনায় প্রকৌশলীকে পদাবনতি করেছেন। এ খাতিরটা কেন? এ সরকারের আমলে এত বড় অন্যায় কাজ করে পার পেয়ে যাবে? আমরা এটা চেয়ে চেয়ে দেখব, তা কি হয়? তাই মন্ত্রীকে বলব বিড়াল প্রথম রাতেই মারুন। এখনই ব্যবস্থা নিন।

এসআর/এমজে