শিগগিরই ওআইসিতে মিশন কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশ
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন খোলার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই এ মিশন কার্যক্রম শুরু করবে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
বিদেশে বাংলাদেশের কতগুলো মিশন রয়েছে। কতগুলোতে রাষ্ট্রদূত নেই ও সেগুলোতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের প্রক্রিয়া কতদূর এগিয়েছে আর কারা কারা হতে পারেন পরবর্তী রাষ্ট্রদূত– এমন প্রশ্ন রাখা হয় মুখপাত্রের কাছে।
বিজ্ঞাপন
জবাবে মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে ৬০টি দেশে বাংলাদেশের মোট ৮১টি দূতাবাস/হাইকমিশন/স্থায়ী মিশন/কনস্যুলেট জেনারেল/উপ হাইকমিশন/সহকারী হাইকমিশন রয়েছে। চলমান যুদ্ধের কারণে সুদানে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন
সেহেলী সাবরীন বলেন, দেশগুলোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার/স্থায়ী প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছেন। ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার/স্থায়ী প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে দুটি দেশে (বাহরাইন ও মরিশাস) নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত নিয়োগ প্রসঙ্গে মুখপাত্র জানান, বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পররাষ্ট্র ক্যাডারের যুগ্মসচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সরকারের সমপর্যায়ের অন্য কর্মকর্তারা নিয়োগ পেয়ে থাকেন। এছাড়া সরকারি সিদ্ধান্তক্রমে উপযুক্ত ব্যক্তিরা রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে মনোনীত একজন রাষ্ট্রদূতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে স্বাগতিক দেশের অ্যাগ্রিমেন্টে চাওয়া হয়।
সেহেলী সাবরীন বলেন, অ্যাগ্রিমেন্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে মনোনীত রাষ্ট্রদূত ওই দেশে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ, কাজেই চূড়ান্ত অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত কারা কারা পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
এনআই/এসএসএইচ