রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে মো. জামাল হোসেন(১৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এই ঘটনায় অন্য গ্রুপের মো. আমির(২০) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।

বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জামালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত আমিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

নিহত জামালের সহকর্মী মুজাহিদ বলেন, আমি ও জামাল দুজনে চাঁদনী মাঠ এলাকায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করি। সাড়ে আটটার দিকে এলাকার ফারদিন, সিফাত, আরাফাত, শিমুল ও ইমন গাজীসহ আরো বেশ কয়েকজন জামালকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে জামালকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পরে আমি ও তার বন্ধু আসাদুল্লাহ রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে জামালকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে তারা জামালকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে, সে বিষয়টি আমি বলতে পারি না।

এদিকে অন্য গ্রুপের ইমন গাজী বলেন, গতকাল জামাল গ্রুপের সাথে আমাদের সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আজ সাড়ে আটটার দিকে নিহত জামালসহ বেশ কয়েকজন আমাদের মারপিট করে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমার বন্ধু আমিরের শরীরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পরে আমার বন্ধুকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার কোমরে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে জামাল নামে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় অন্য পক্ষের আমির নামে আরেকজন গুরুতর আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের চারজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা যাত্রাবাড়ী থানাকে জানিয়েছি।

এসএএ/এমজে