ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নতুন হেল্প লাইন নম্বর ৩৩৩-৪ এর জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় বড় ধরনের ভূমিকা পালন করবে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন এটুআই এবং বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও হেল্প লাইন নম্বর ‘৩৩৩-৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পলক বলেন, আমরা একটি সিস্টেম ডেভেলপ করে, সল্যুশন তৈরি করে, সার্ভিস অপারেশনাল করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। এই যে স্বপ্ন দেখা, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, এবং কার্যকর করার চারটি ধাপ পার হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা হোল অফ গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ নিয়ে কাজ করতে চাই। আমাদের স্মার্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী পাঁচ বছরে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা কী হবে সেটা আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে সকলেই উপলব্ধি করতে পারবে।

তিনি বলেন, আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ২০১৭ সালে আমরা ৯৯৯ ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি কল সেন্টার আইসিটি বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করি। এরপর ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল ৩৩৩ ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সরকারের সকল মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীদেরকে অর্থ, সময়, এবং মেধার অপচয় রোধ করে স্বল্প সম্পদ বিনিয়োগ করে অধিক সেবা জনগণকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রত্যেকটি প্রকল্প গ্রহণের আগে তিনটি বিষয় বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।  

পলক বলেন, সামাজিক সমস্যা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ৩৩৩ যে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে তেমনি পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও কল সেন্টার হেল্পলাইন ৩৩৩-৪ এর মাধ্যমে আমরা ভূমিকা রাখতে চাই। এর পাশাপাশি আমরা ই-নথি থেকে ডি-নথিতে ট্রান্সফরমেশন, মাইগভ প্ল্যাটফর্মে সকল কার্যক্রমগুলো নিয়ে আসা, স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট গভর্নমেন্টের জন্য পেপারলেস, কন্টাক্টলেস, সিটিজেন-সেন্ট্রিক, ট্রান্সপারেন্ট সরকারি সেবা মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারকের স্কোপ অব ওয়ার্ক ঠিক করা হয়েছে।

আরএইচটি/এসকেডি