চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষক সমিতি। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, শিক্ষক সমিতির ২৬ দফা দাবি ছিল। এর মধ্যে ২০ দফা দাবি আমি অনেক পরিশ্রম করে বাস্তবায়ন করেছি। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে বারবার কল করে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এর আগে দুইজন সিনিয়র প্রফেসর গেছেন ওনাদের কাছে। ওনারা আসছেন না। ওনাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ আমি স্থগিত রেখেছি। আইন অনুষদের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির আলোচনা করে আমি সমাধান করতে চাচ্ছি দীর্ঘদিন ধরে। ওনাদের আলোচনায় বসা উচিত।

তিনি বলেন, যখন দাবি পূরণের পরও তারা আলোচনায় বসছেন না, তখন বুঝতে হবে তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। তারা বলছেন, আমাকে পদত্যাগ করতে হবে। অর্থাৎ তারা প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এ আন্দোলন করছে। এটি ব্যক্তিগত স্বার্থ। তারা বলছেন দুর্নীতি হয়েছে। এটি তাদের মুখের কথা। কারও কাছে কোনো প্রমাণ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি হয়েছে প্রমাণ দিতে পারলে আমি দায়িত্ব ছেড়ে দেব। শিক্ষক সমিতিকে আন্দোলন করতে হবে না।

উপাচার্য বলেন, শিক্ষক সমিতির দাবি ছিল নতুন বাস দিতে হবে। আমি কয়েকদিন আগে কয়েকটি বাস ও মাইক্রোবাস যুক্ত করেছি। শিক্ষকদের পারিতোষিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির ব্যবস্থা নিয়েছি। ঢাকার গেস্ট হাউজে নতুন ফ্ল্যাট কিনেছি। মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে সিনিয়র শিক্ষকদের টেলিফোন বিল প্রদান করেছি। চট্টগ্রামে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য ফ্ল্যাট অথবা ভবন ক্রয়ে কমিটি করে দিয়েছি।

প্রফেসর শিরীণ আখতার বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভা গঠনের পরদিন থেকে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার সরকারবিরোধী পত্রিকায় নিউজ করিয়েছে। তা এখন ব্যানারে প্রিন্ট করিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাঁটিয়ে দিয়েছে। তবুও আমি বলেছি, আইন অনুষদের বিষয়টি শিক্ষক সমিতির সঙ্গে বসে সমাধান করব। তারা যেকোনো মুহূর্তে আসতে পারে। আমি চিঠি দিয়ে রেখেছি। বারবার কল দিয়েছি সভাপতি মহোদয়কে।

তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দেয়। ট্রেন আটকে দেয়। ভাঙচুর করে বসে। এসব তো দীর্ঘদিনের সমস্যা। চাইলেই একদিনে সমাধান সম্ভব নয়। শিক্ষক সমিতি বলে, এসব আমাদের সমাধান করতে হবে। আমার কথা হলো, এসব দাবি সম্মিলিত প্রয়াসে সমাধান করতে হবে। ব্যাপারগুলো রাজনৈতিক।

আরএম/এসএসএইচ